নিজস্ব প্রতিবেদক


কুমিল্লার চান্দিনায় একাধিকবার নির্বাচিত সংসদ সদস্য ক্লিন ইমেজের পরিচ্ছন্ন রাজনীতিবিদ অধ্যাপক আলি আশরাফের স্বজন ও যুবলীগলীগ নেতা দাবীকারী ভূমিদস্যু ডেগার মকবুলের অত্যাচার নির্যাতনে অতিষ্ঠ প্রবাসী পরিবার সহ গল্লাই মাদ্রাসা কমপ্লেক্স ও বড়দিঘীরপাড়ের এলাকাবাসী। নিজেকে স্থানীয় ইউ পি চেয়ারম্যান ও এমপি’র ঘনিষ্ঠ স্বজন পরিচয় দিয়ে ভূমি দখল, সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড, ভাংচুর, মারধর সহ বিভিন্ন অভিযোগ উঠেছে তার বিরুদ্ধে। এলাকায় ভুক্তভোগী ও স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা যায়, হত্যা সহ বিভিন্ন মামলার আসামী ভূমিদস্যু ডেগার মকবুলের কোন পদ পদবী না থাকলেও নিজের একটি সন্ত্রাসী দখলদার ও ভাড়াটিয়া বাহিনী রয়েছে। পেশায় বলার মত কিছু না থাকলেও মূলত এলাকায় পক্ষপাত মুলক বিচার সালিশ ও ঝামেলা সংক্রান্ত জমিজমা কেনাবেচাই আয়ের মূল উৎস। উপজেলা বা ইউনিয়ন যুব বা আওয়ামিলীগের কোন পদে আছেন তিনি তাও জানা যায় নি স্থানীয় আওয়ামিলীগের একাধিক নেতৃবৃন্দের সাথে কথা বলেও। ভুক্তোভোগীরা জানায়, দীর্ঘদিন ধরেই এলাকায় সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড সহ নান অপকর্ম চালিয়ে আসছে গল্লাই পাঁচধরা এলাকার মৃতঃ জহুর মিয়ার ছেলে ডেগার মকবুল ও তার বাহিনী। ভুক্তভোগীদের একজন এলাকার মৃতঃ রফিজ মিয়ার ছেলে সিঙ্গাপুর প্রবাসী খোরশেদ আলম ও তার পরিবার। খোরশেদ আলমের স্ত্রী অভিযোগ বলেন, আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ভেকু মেশিন, দেশীয় অস্ত্র স্বস্ত্র ও বিশাল সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে বেশ কয়েকবার হামালা করে বাড়িঘরে তান্ডব চালায়। এসময় বাড়ীর বয়স্ক মহিলা, নারী ও শিশুদের ওপর হামলা মারধর ভাংচুর করা সহ ঘরে তালা ঝুলিয়ে দেয় তার বাহীনি। এমপি স্যারের স্বজন পরিচয় দেয়ার এলাকার মানুষ ভয়ে তার প্রতিবাদ করে না। তার ভয়ে স্বামী খোরশেদ আলম বাড়ি থেকে পালিয়ে রয়েছে এলাকায় আসতে পারছে না। গত ৪০ বৎসর আগে সাব কাবলায় কেনা ভুমি হঠাৎ করেই সে কিনেছে বলে দাবী করে করে দখল করতে আসে বারবার। থানায় মামলা ও অভিযোগ করেও পরিত্রাণ পাচ্ছেন না বলেও দাবী তার। ভুক্তভোগীদের আরেকজন একই এলাকার জয়নাল মিয়া (৫৫) তিনি বলেন, কিছুদিন আগে পৈতৃক ভিটায় খুটা গেড়ে আমার ভাইয়ের কাছ থেকে কিনেছে বলে মকবুল নিজেকে জমির মালিক দাবী করে। নিজেকে এমপির ভাতিজা পরিচয় দিয়ে এলাকার মানুষকে নানা ভাবে হয়রানি করছে । সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, গল্লাই এলাকার স্থানীয়দের অনেকেই প্রতিবেদকের কাছে মকবুলকে স্থানীয় সন্ত্রাসী দাবী করে তার বিরুদ্ধে অহেতুক মামলা দিয়ে হামলা ও হয়রানি সহ অবৈধভাবে ভুমি দখলের অভিযোগ করেন। এমনকি নিজ দলের কর্মীরাও তার হাতে নির্যাতনের অভিযোগ তুলে এলাকাবাসী জানায়, বড় নেতাদের প্রভাব দেখিয়ে এতসব করলেও এলাকায় না থাকায় নেতারা এসব বিষয়ে অবগত না। গত ১১ বছর আগে স্থানীয় এক ব্যাক্তিকে খুন করে দীর্ঘদিন পালাতক থাকার এলাকায় এসেই আবারো নানা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে চলেছে সে। মকবুলের অত্যাচার থেকে রক্ষা পেতে স্থানীয় এমপি ও প্রশাসনের আন্তরিক সহায়তা কামনা করেন।

এসব অভিযোগের বিষয় জানতে মকবুলের বাড়িতে গিয়ে তাকে পাওয়া যায় নি। ব্যবহৃত মোবাইলে একাধিকবার ফোন দিলেও তিনি ফোন রিসিভ করেন নি।