জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে ২০২০ সালকে ‘মুজিব বর্ষ’ হিসেবে ঘোষণা করা হয়। আজ থেকে শুরু হচ্ছে মুজিব বর্ষের ক্ষণগণনা। আর এ ক্ষণগণনার সব প্রস্তুতি প্রায় শেষ। এজন্য পুরোপুরি প্রস্তুত রাজধানীর তেজগাঁও পুরাতন বিমানবন্দরে অবস্থিত জাতীয় প্যারেড গ্রাউন্ড।
আজ শুক্রবার বিকেলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আনুষ্ঠানিকভাবে ক্ষণগণনার ঘোষণা করবেন। এরপরই চালু হয়ে যাবে দেশের বিভিন্ন স্থানে বসানো ক্ষণগণনার ৮৩টি ঘড়ি। আগামী ১৭ মার্চ থেকে শুরু হবে মুজিব জন্ম শতবর্ষের বছরব্যাপী কার্যক্রম।
‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন কমিটি’ সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
সূত্র জানিয়েছে, আজ শুক্রবার বিকেল ৩টায় প্রধানমন্ত্রী মঞ্চে আসার কথা রয়েছে। তেজগাঁও পুরাতন বিমানবন্দর বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকীর ক্ষণগণনা অনুষ্ঠানে বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের প্রতীকী আবহ তৈরি করা হবে। ক্ষণগণনার অনুষ্ঠানে বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের প্রতীকী বিমান অবতরণ, বিমান থেকে আলোক প্রক্ষেপণ ও তোপধ্বনি, প্রতীকী গার্ড অব অনারের আয়োজন করা করা হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী ওই অনুষ্ঠানে বক্তৃতা দেওয়ার পাশাপাশি মুজিব বর্ষের লোগো উন্মোচন করবেন। এরপর সারা দেশের ১২টি সিটি করপোরেশনের ২৮টি জায়গা, বিভাগীয় শহর, ৫৩ জেলা, দুই উপজেলা এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ রাজধানীতে বসানো ৮৩টি স্থানে ক্ষণগণনার ঘড়ি সচল হবে।
শুক্রবারের এই আয়োজনে সরাসরি অংশ নেবে ১২ হাজার দর্শক, যারা ইতিমধ্যেই অনলাইনে রেজিস্ট্রেশন করেছেন। সরকারি ও বেসরকারি টিভি চানেলগুলো সরাসরি অনুষ্ঠানটি সম্প্রচার করবে বলে জানা গেছে।
এ বিষয়ে জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন কমিটির সদস্য সচিব ড. কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী জানিয়েছেন, ‘আমরা প্রস্তুত, শেষ মুহূর্তের বাকি কাজগুলো করছি। শুক্রবার বিকেলে প্রধানমন্ত্রীর উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপনের ক্ষণগণনা শুরু হবে।’