আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের এক ঘড়ির দাম ২৮ লাখ ৮৬ হাজার টাকা বলে নিউজ করে সুইডেনভিত্তিক একটি নিউজ পোর্টাল। রোলেক্স ডে ডেট প্রেসিডেন্ট মডেলের ওই ঘড়ি নিয়ে নিউজ করায় নেত্র নিউজ নামে নিউজ পোর্টালটি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা। এবার মুখ খুললেন ওবায়দুল কাদের। জানালেন, এসব ঘড়ি তার কেনা নয়, উপহার পাওয়া।
আজ বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের করা প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন ওবায়দুল কাদের।
নেত্র নিউজের সংবাদ এবং সংবাদমাধ্যমটি বন্ধ করে দেওয়ার ব্যাপারে ওবায়দুল কাদেরের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে তিনি বলেন, ‘এটা আমি আজ প্রথম শুনলাম। আমার যত ঘড়ি আছে একটাও আমার নিজের না, পয়সা দিয়ে কেনা নয়। আপনি বিদেশে গেলেন এসে আমাকে একটা ঘড়ি দিলেন, আমি নিলাম।’
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘ফর গড সেক, আমি বলছি এগুলো আমার দামি পোশাক, এগুলো আমার কেনা নয়। কিন্তু আমি পাই, অনেকে আমাকে ভালোবাসে, আমার অনেক কর্মী আছে। তারা বিদেশে আছে, আসার সময় আমার জন্য একটা স্যুট নিয়ে আসে। গতকাল (বুধবার) সিঙ্গাপুর থেকে একজন তিনটা কটি বানিয়ে নিয়ে এসেছেন।’
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘এই রকম আপনি যদি নিয়ে আসেন, আমাকে উপহার দেন, আমি কী করব। এটা গিফট আইটেম, এটা আমার নিজের নয়। এটা সড়কের সঙ্গে কোনো….। আমি তো বুকে হাত দিয়ে বলতে পারব, আমি কোনো কন্ট্রাক্টর থেকে, আমি কোনো কন্ট্রাক্টরকে এখানে বসতেও দেই না। আমার সঙ্গে কোনো কন্ট্রাক্টরের বৈঠকও হয় না, যেটা হতো অতীতে।’
তিনি বলেন, ‘আজকাল পদোন্নতির জন্য কোনো তদবির হয় না। আমার এখানে চিফ ইঞ্জিনিয়ার নেক্সট সিনিয়র ম্যান, ১০ দিন সময় (চাকরির মেয়াদ) আছে, তাকেও আমি চিফ ইঞ্জিনিয়ার করেছি কয়েক দিন আগে। আগে তো চিফ ইঞ্জিনিয়ার পদে যাওয়া মানে হলো বিশাল ব্যাপার। এসব তো আপনারাই শুনতেন।’
ঠিকাদারদের টাকার প্রস্তাব ফিরিয়ে দিয়েছেন জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘কন্ট্রাক্টররা ইলেকশনের সময় আমাকে একটা অ্যামাউন্ট দিতে গিয়েছিল, আমি কিন্তু সরাসরি না করেছি। আমার ইলেকশনের টাকা প্রধানমন্ত্রী নিজেই দিয়েছেন। আমার কারও থেকে টাকা নিতে হয়নি।’