বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে র্যাগিং বন্ধে এন্টি র্যাগিং স্কোয়াড ও কমিটি গঠনের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। আজ বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আগামী তিন মাসের মধ্যে এই নির্দেশ বাস্তবায়ন করতে বলা হয়েছে। পাশাপাশি র্যাগিং থেকে শিক্ষার্থীদের রক্ষায় বিবাদীদের নিষ্ক্রীয়তা কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন আদালত। রুলে আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে স্বরাষ্ট্র সচিব, শিক্ষা সচিব ও বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের চেয়ারম্যানসহ সংশ্লিষ্টদের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
আদালতে রিট আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী ইশরাত হাসান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত তালুকদার।
আইনজীবী ইশরাত হাসান সাংবাদিকদের বলেন, অনেক স্বপ্ন নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে আসা তরুণরা সিনিয়রদের র্যাগিংয়ের শিকার হন। সিনিয়ররা নতুনদের কান ধরে ওঠবস করানো, রড দিয়ে পেটানো, পানিতে চুবানো, উঁচু ভবন থেকে লাফ দেয়ানো, সিগারেটের আগুনে ছ্যাঁকা দেয়া, গাছে ওঠানো, ভবনের কার্নিশ দিয়ে হাঁটানো, এমনকি দিগম্বর পর্যন্ত করে।
এছাড়া গালিগালাজ করা, কুৎসা রটানো, নজরদারি করা ও নিয়মিত খবরদারির মতো নানা ধরনের মানসিক নির্যাতন করা হয়। এসব বন্ধে হাইকোর্ট বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে র্যাগিং বন্ধে এন্টি র্যাগিং স্কোয়াড ও কমিটি গঠনের নির্দেশ দিয়েছেন।
এর আগে গত বুধবার দেশের সব বিশ্ববিদ্যালয়ে র্যাগিং বন্ধ ও র্যাগিংয়ের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে এডভোকেট ইশরাত হাসান জনস্বার্থে এই রিট দায়ের করেন। রিটে স্বরাষ্ট্র সচিব, শিক্ষা সচিব ও বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের চেয়ারম্যানসহ সংশ্লিষ্টদের বিবাদী করা হয়। তার আগে গত বছরের ৯ই অক্টোবর দেশের সব বিশ্ববিদ্যালয়ে র্যাগিং বন্ধ ও র্যাগিংয়ের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনসহ সংশ্লিষ্টদের বরাবর লিগ্যাল নোটিশ পাঠান এই আইনজীবী। স্বরাষ্ট্র সচিব, শিক্ষা সচিব ও বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের চেয়ারম্যান বরাবর এ নোটিশ পাঠানো হয়। প্রত্যেক বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের সার্বক্ষণিক সহায়তার জন্য এন্টি র্যাগিং কমিটি গঠন ও মনিটরিংয়ের জন্য এন্টি র্যাগিং স্কোয়াড গঠনে ৭ দিনের মধ্যে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার কথা বলা হয় নোটিশে।