মাহফুজ বাবু


কুমিল্লার বুড়িচংয়ে পুলিশের সাথে কথিত ‘বন্দুকযুদ্ধে’ মাজহারুল ইসলাম (৩৫) নামে এক যুবক নিহত হয়েছেন।
রবিবার দিবাগত রাত ২টায় উপজেলার পশ্চিমশিং এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এসময় বুড়িচং থানার পরিদর্শক নিত্যানন্দসহ ৬ পুলিশ সদস্য আহত হন বলে জানা গেছে। ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করা হয়েছে বিদেশি পিস্তলসহ দেশীয় বিভিন্ন অস্ত্র।
নিহত মাজহারুলকে ‘ডাকাত’ উল্লেখ করে পুলিশ বলছে, সে দুই ব্যবসায়ী হত্যায় অভিযুক্ত। মহাসড়কে ডাকাতি করতে গিয়ে দুই ব্যবসায়ীকে হত্যা করে সে ও তার সঙ্গীরা। কয়েকদিন পূর্বে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের চান্দিনা ও কুমিল্লা-সিলেট আঞ্চলিক মহসাড়কের বুড়িচং উপজেলার কংশনগর এলাকায় ডাকাতদের হাতে খুন হন দুই ব্যবসায়ী।


বন্দুকযুদ্ধের বিষয়টি নিশ্চিত করে বুড়িচং থানার ওসি মোজাম্মেল হক বলেন, ‘নিহত ডাকাত মাজহারুলের মরদেহ কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ (কুমেক) হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে। আহত পুলিশ সদস্যদের জরুরি বিভাগে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।’

কুমেক হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা পুলিশ সদস্যদের সাথে কথা বলে জানা যায়, বেশ কিছুদিন ধরে মহাসড়কে ডাকাতদের আতঙ্কে অতীষ্ঠ ছিল যাত্রীরা। এরই মধ্যে ডাকাতদের হাতে খুন হন দুই ব্যবসায়ী। এর একটি হত্যাকাণ্ডের ক্লু খুঁজতে গিয়ে মাজহারুলসহ অন্যান্য ডাকাতদের জড়িত থাকার বিষয়টি নিশ্চিত হয় পুলিশ। পরে মহাসড়কের চান্দিনায় ডাকাতিকালে একজনকে ও অভিযান চালিয়ে আরো একজন আটক করা হয়। এ দু’টি অভিযানের সময় দু’বারই কৌশলে পালিয়ে যায় মাজহারুল।

দু’টি হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় আটক ডাকাতদলের সদস্যদের কাছ থেকে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে মাজহারুলকে গ্রেপ্তারের লক্ষ্যে সোমবার মধ্যরাতে বুড়িচং উপজেলার পশ্চিমশিং এলাকায় অভিযান চালায় পুলিশ। উপস্থিতি টের পেয়ে ডাকাত দলের সদস্যরা পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ও ইটপাটকেল ছুঁড়তে থাকে। এ সময় পুলিশও পাল্টা গুলি ছুঁড়লে ডাকাতরা পিছু হটে পালিয়ে যায়। পরে সেখানে মাজহারুলকে আহত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখা যায়। তাৎক্ষণিকভাবে তাকে উদ্ধার করে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আনা হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
বুড়িচং থানার ওসি মোজাম্মেল হক বলেন, ‘নিহত ডাকাত মাজহারুলের মরদেহ কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ (কুমেক) হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে। আহত পুলিশ সদস্যদের জরুরি বিভাগে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।’