কুমিল্লার নাঙ্গলকোট উপজেলায় এসএসসি, দাখিল ও ভোকেশনাল পরীক্ষা কেন্দ্রে বেপরোয়া নকল ঠেকাতে প্রশাসন হিমশিম খাচ্ছে। এ পর্যন্ত প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী ২৬ পরীক্ষার্থীকে অসদুপায় অবলম্বনের দায়ে বহিষ্কারের সংবাদ পাওয়া গেছে।
এর মধ্যে ঢালুয়া উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে ১০, নাঙ্গলকোট আফসারুল উলুম কামিল মাদ্রাসা কেন্দ্রে ৪, বাঙ্গড্ডা বাদশা মিয়া স্কুল অ্যান্ড কলেজ কেন্দ্রে ৬, বক্সগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে ৫ ও কাকৈরতলা উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে ১ জনসহ ২৬ জনকে বহিষ্কার করা হয়।
এদিকে কাকৈর তলা উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে নকল সরবরাহের অভিযোগে একজন শিক্ষক ও কেন্দ্র সচিব আবুল কালামকে বোর্ড চেয়ারম্যান ডেকে নিয়ে ভৎসনা করেন। অপরদিকে পরীক্ষার প্রথম দিনে বাঙ্গড্ডা ফাজিল মাদরাসা কেন্দ্রে ও কাকৈরতলা উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে দুই শিক্ষককে অব্যাহতি দিয়েছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।
এ সময় এক পরীক্ষার্থীর অভিভাবককে ২ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। সহকারী কমিশনার ভূমি সাজেদুল ইসলাম তার অফিসের ৫ কর্মচারী নিয়ে বিভিন্ন কেন্দ্রে সাঁড়াশি অভিযান পরিচালনা ও শরীর তল্লাশী করে নকলের কপি উদ্ধার করেন। অনেক পথচারী কর্মচারীদের কেন্দ্রে প্রবেশের বিষয়ে আপত্তি তোলেন।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার লামইয়া সাইফুল সকাল সাড়ে ৯টায় কেন্দ্র পরিদর্শনে বের হয়ে দুপুর দেড়টায় তার কার্যালয়ে ফিরে আসেন। নাঙ্গলকোটের ১৬টি পরীক্ষা কেন্দ্রের সবকটিতেই চরম আতঙ্ক বিরাজ করছে। নাঙ্গলকোট ও ধাতিশ্বর কেন্দ্রের পরীক্ষার্থদের কান্না কাটি করতে দেখা গেছে।