ঢাকাসহ সারাদেশে নিবন্ধিত ফিটনেসবিহীন গাড়ি রাস্তায় চলাচল বন্ধে বিআরটিএ’র ভ্রাম্যমাণ আদালত এবং আইন শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনী কি পদক্ষেপ নিয়েছে তা জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট। আগামী ১৬ ফেব্রুয়ারি এ তথ্য জানাতে বিআরটিএ’র চেয়ারম্যান ও পুলিশের আইজিকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আদালত বলেছেন, ফিটনেসবিহীন গাড়ি রাস্তায় চলতে পারবে না।

বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কেএম হাফিজুল আলমের হাইকোর্ট বেঞ্চ আজ বুধবার এ আদেশ দেন। আদালত আগামী ১৬ ফেব্রুয়ারি পরবর্তী আদেশের দিন ধার্য করা হয়েছে। বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ) এবং আইজির পক্ষ থেকে দাখিল করা প্রতিবেদনের ওপর শুনানিকালে আদালত এ আদেশ দেন। আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল একেএম আমিন উদ্দিন মানিক। বিআরটিএ’র পক্ষে ছিলেন রাফিউল ইসলাম। 

আইজিপি’র প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ফিটনেসবিহীন যানবাহনে তেল না দিতে গতবছর ২৩ অক্টোবর হাইকোর্টের নির্দেশের পর বিভিন্ন তেলের পাম্প কর্তৃপক্ষকে চিঠি দেওয়া হয়েছে, যাতে ফিটনেসবিহীন যানবাহনে তেল দেওয়া না হয়। আদালতের আদেশ অনুসারে সকল পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। এ অনুযায়ী কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। 

বিআরটিএ’র প্রতিবেদনে বলা হয়, গতবছর ২৩ অক্টোবর হাইকোর্টের আদেশের পর থেকে ৩০ ডিসেম্বর পর্যন্ত সারাদেশে নিবন্ধিত ফিটনেসবিহীন প্রায় পৌণে ৫ লাখ গাড়ির মধ্যে এক লাখ ৬৫ হাজার ৭৬৪ গাড়ি তাদের ফিটনেস নবায়ন করেছে। প্রতিবেদনে বলা হয়, অভিযানকালে দেখা গেছে ১৯ হাজার ৩টি গাড়ির কোনো নিবন্ধনই নেই। এই রিপোর্ট উপস্থাপন করে বিআরটিএ আইনজীবী আদালতকে বলেন, আদালতের নির্দেশনা অনুসারে বিআরটিএ ব্যবস্থা নিয়েছে। প্রত্যেক পেট্রোল পাম্পকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। তারা এ বিষয়ে ব্যানার লাগিয়েছে। আদালতের এ আদেশের ফিটনেস খেলাপি গাড়িতে জ্বালানি দিচ্ছে না। এসময় তিনি কিছু সচিত্র প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন। এই দুটি প্রতিবেদন উপস্থাপনের পর আদালত আদেশ দেন।

হাইকোর্ট গতবছর ২৭ মার্চ স্বপ্রণোদিত হয়ে এক আদেশে সারাদেশে ফিটনেসবিহীন ও নিবন্ধনহীন যানবাহন এবং লাইসেন্সহীন চালকের তথ্য জানাতে বিআরটিএ চেয়ারম্যানসহ সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেন। আদালত অন্তবর্তীকালীন নির্দেশনা পাশাপাশি রুল জারি করেন। ফিটনেসবিহীন গাড়ি নিয়ে গতবছর ২৩ মার্চ একটি ইংরেজি দৈনিকে প্রকাশিত প্রতিবেদন আমলে নিয়ে এ আদেশ দেন আদালত। এরই ধারাবাহিকতায় গতকাল নতুন করে আদেশ দিলেন আদালত।