দু‘দেশের মধ্যে সম্প্রীতির অংশ হিসেবে বন্ধু প্রতীম দেশ ভারত সরকারের দেওয়া ‘বাংলাদেশ-ভারত ফ্রেন্ডশিপ পাই পলাইনে’ জ্বালানি তেল আমদানির প্রথম চালানের পাইপ স্থলবন্দর বেনাপোলে প্রবেশ করেছে। আজ মঙ্গলবার বিকেলে দু‘দেশের ব্যবসায়ীরা বেনাপোল টিটি টার্মিনালে আনুষ্ঠানিক হস্তান্তর কার্যক্রম শুরু করেছে।
জ্বালানি তেল আমদানির জন্য শিলিগুড়ি থেকে পার্বতীপুর পর্যন্ত ১৩০ কিলোমিটার দীর্ঘ মাটির তলা দিয়ে বসানো হবে পাইপ লাইন। ইতিমধ্যে ৬ ফুট করে ভূমি অধিগ্রহণ কাজ শেষ পর্যায়ে। যার আমদানিকারক বাংলাদেশ পেট্রলিয়াম কর্পোরেশন ও রপ্তানিকারক ভারতের নমালীগ্রাহা রিফাইনারি লিমিটেড।
ব্যবসায়ীরা জানান, বাংলাদেশকে দুবাইসহ অনান্য দেশ থেকে জ্বালানি তেল আমদানি করতে হতো। এতে যেমন দীর্ঘ সময় লাগতো তেমনি অর্থ খরচও বেশি পড়ত। এখন ভারতের শিলিগুড়ি থেকে পাইপলাইনের মাধ্যমে তেল আমদানিতে কম খরচে দ্রুত সময়ে তেল পার্বতীপুরে পৌঁছে যাবে।
ইন্দো-বাংলা চেম্বার অফ কমার্স সাব কমিটির পরিচালক মতিয়ার রহমান বলেন, সৌহার্দ্যের আরো একটি মাইল ফলক সৃষ্টি হলো। কোনো সুদ ছাড়ায় ভারত সরকারের দেওয়া সহায়তায় পাইপ লাইনে খুব সহজেই আসবে জ্বালানি তেল।
মেঘনা পেট্রলিয়াম লিমিটেডের জেনারেল ম্যানেজার ইঞ্জিনিয়ার মো. টিপু সুলতান বলেন, দ্রুত গতিতে স্বল্প সময়ে অল্প খরচে আসবে তেল। উপকৃত হবে দু‘দেশ।
নমালীগ্রাহা রিফাইনারি লিমিটেড-শিলিগুড়ির চিফ ম্যানেজার (প্রজেক্ট) নিরোদ কুমার হালুয়া বলেন, ফ্রেন্ডশিপ পাইপলাইন দুই দেশের বন্ধুত্ব সম্পর্ককে আরো জোরদার করবে।
আমদানিকারক-ঢাকার গালফ ওরিয়েন্ট সিউস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শেখ মাহফুজ হামিদ বলেন, দ্রুত তেল আমদানিতে এটি একটি মাইলফলক হয়ে থাকবে।
২০০৪ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশ ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী ফ্রেন্ডশিপ পাইপলাইনের উদ্বোধন করেন। শিলিগুড়ি থেকে পার্বতীপুর পর্যন্ত ১৩০ কিলোমিটার দীর্ঘ পাইপলাইনের ৫ কিলোমিটার ভারত অংশে ও ১২৫ কিলোমিটার পড়েছে বাংলাদেশ অংশে। আগামী মার্চ মাসের মধ্যে পাইপলাইন বসানোর কাজ শুরু হবে। শেষ হবে ২০২২ সালে। ইতোমধ্যে ভূমি অধিগ্রহণের কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে। এ প্রকল্পে মোট খরচ হচ্ছে সাড়ে ৬০০ কোটি টাকা। ভারত সরকার বাংলাদেশ সরকারকে দিচ্ছে অফেরতযোগ্য তিন শ তিন কোটি রুপি।