করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারণে লকডাউন হয়ে গেছে বিশ্বের অধিকাংশ দেশ ও শহর। এমন অস্থিতিশীল পরিস্থিতিতে অর্থনৈতিকভাবে সংকটে পড়েছেন নিম্ন ও মধ্যবিত্ত আয়ের খেটে খাওয়া মানুষজন। ভাইরাসটির প্রাদুর্ভাবে মানুষ ঘর থেকে বের হতে পারছেন না। অফিস, কলকারখানা, গণপরিবহন বন্ধ থাকা এবং কাজকর্মে সীমাবদ্ধতা আরোপিত হওয়ায় আর্থিক সংকটে পড়েছেন বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ। এর সঙ্গে আতঙ্ক উদ্বেগ তো রয়েছেই। এ অবস্থায় খেটে খাওয়া মানুষদের জন্য বাড়ি ভাড়া দেওয়া কষ্টসাধ্য হয়ে পড়েছে।
পরিস্থিতি বিবেচনায় অস্ট্রেলিয়া সরকার বাড়িওয়ালাদের জন্য কঠোর বিধিনিষেধে আরোপ করেছে। করোনার কারণে কোন ভাড়াটিয়া বাসাভাড়া দিতে না পারলে তাদের ৬ মাস পর্যন্ত বাড়ি থেকে উচ্ছেদ না করতে বাড়িমালিকদের নির্দেশ দিয়েছে দেশটির সরকার।
প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসন বলেছেন, রবিবার রাতে জাতীয় মন্ত্রিসভায় একাধিক বৈঠকে নতুন এই নীতিমালার বিষয়ে নীতিনির্ধারকরা একমত হয়েছেন।
সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘রাষ্ট্রীয় ও অঞ্চলগুলি আর্থিক প্রতিবন্ধকতার কারণে ভাড়াটিয়ারা তাদের প্রতিশ্রুতি পূরণ করতে না পারলেও তাদের উচ্ছেদ করা যাবে না। আগামী ছয় মাসের জন্য উচ্ছেদের উপর এই স্থগিতাদেশ কার্যকর থাকবে। এ সময়ে কোন ভাড়াটিয়াকে উচ্ছেদ করা হলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা আগামী কয়েক দিনের মধ্যে আরও জোরদার বিধান পাওয়ার জন্য ব্যবসায়ী, বাড়িওয়ালা এবং ব্যাংকের সঙ্গে বৈঠক করবো।’
তবে মরিসন বাড়িওয়ালাদের তাদের ভাড়াটিয়া এবং ব্যাংকগুলির সাথে সমস্যা সমাধানে জন্য কাজ করার প্রয়োজনীয়তার উপর জোর দিয়েছেন, যা অবিলম্বে শুরু করা উচিত বলে মত দিয়েছেন তিনি। বলেন, ‘এখানে প্রচুর কাজ করতে হবে, ভাড়াটেদের বিশেষত বাণিজ্যিক ভাড়াটেদের কাছে আমার বার্তা, এটি খুব সহজ কাজ। আপনারা আপনার বাড়িওয়ালার সাথে কথা বলুন, সমাধান হয়ে যাবে। একে অপরের সাথে কথা বলার এবং সমঝোতার মাধ্যমে কাজ করার দরকার রয়েছে।’
মরিসন বলেন, করোনাভাইরাস সঙ্কট অতিক্রম না হওয়া পর্যন্ত ভাড়াটিয়াদের সাথে বাড়িওয়ালাদের চুক্তিগুলো স্থগিত রাখার ব্যাপারে উৎসাহিত করা হচ্ছে। এর জন্য কোনও আইনগত বিধি নেই। তবে সকল বাড়িমালিকদের এটা মেনে নিতে হবে।
উল্লেখ্য, অস্ট্রেলিয়ায় ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়েছে মহামারি করোনাভাইরাস। দেশটিতে এরই মধ্যে ৩ হাজার ৯৬৯ জন মানুষ করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। এদের মধ্যে মারা গেছেন ১৬ জন।
সূত্র- ডেইলি মেইল।