চৈত্রের ২৮ তারিখ চলছে। নতুন বছরের অপেক্ষা না করেই বৈশাখী ঝড় এসে গেল। আজ শনিবার সন্ধ্যায় রাজধানীতে বয়ে গেল কালবৈশাখী ঝড়। টানা কিছুদিন বৃষ্টি না হওয়ায় প্রচণ্ড ঝুলিঝড় হয়েছে শুরুতে। করোনাভাইরাসের কারণে নগর এখন লকডাউন। সন্ধ্যার পর বেরুতে মানা। তাই লোকজনের খুব একটা কষ্টের কারণ হয়নি কালবৈশাখী।
দেশজুড়ে চলছে করোনাভাইরাসের ভয়াবহ সংক্রমণ। এই ভাইরাস ঠেকানোর জন্য সবরকমের জনসমাবেশ নিষিদ্ধ করেছে সরকার। মসজিদসহ উপাসনালয়ে দলবেঁধে গিয়েও প্রার্থনায় মানা। বাতিল হয়েছে ১৪২৭ সালের নববর্ষের অনুষ্ঠানও। আজ সন্ধ্যার কালবৈশাখীর প্রচণ্ড ঝাপটা যেন বলে গেল বৈশাখের আগমনী বার্তা।
ঝড়ের দিনে আম কুড়ানোর সুখ এবার আর নেই। বাংলাদেশসহ সারাবিশ্বে এখন চরম দুঃসময়। অর্থনীতিতে ভয়াবহ ধস নামতে যাচ্ছে। লাখে লাখে মানুষ চাকরি হারাচ্ছে। সাধারণ মানুষের প্রার্থনা, এই কালবৈশাখী উড়িয়ে নিয়ে যাক করোনাভাইরাসকে। সবকিছু আবার আগের মতো স্বাভাবিক হয়ে যাক। মানুষ বাইরে এসে ঘুরে বেড়াক মুক্ত বাতাসে।