গৌরনদী প্রতিনিধি, মোঃ রিয়াদ সিকদার
ঘূর্ণিঝড় আমফান মোকাবেলায় জেলা প্রশাসনের অনুরোধে আশ্রয় কেন্দ্রে অবস্থানরত জনসাধারণের খোঁজখবর নেয়ার জন্য মঙ্গলবার দিবাগত মধ্যরাত পর্যন্ত বিভিন্ন সাইক্লোন শেল্টার পরিদর্শন করেছেন প্রশাসনের কর্মকর্তারা।
জেলা প্রশাসক এসএম অজিয়র রহমানের নির্দেশে জেলার গৌরনদী উপজেলার চৌকস নির্বাহী অফিসার ইসরাত জাহান মঙ্গলবার দিনভর বিভিন্ন আশ্রয় কেন্দ্র পরিদর্শন করেন।
ওইদিন রাত সাড়ে দশটার দিকেও তিনি কয়েকটি আশ্রয় কেন্দ্র পরিদর্শনে গিয়ে সাংবাদিকদের জানান, জেলা প্রশাসকের নির্দেশনায় ও তৎপরতায় ঘূর্ণিঝড় আমফান মোকাবেলার জন্য সবধরনের ক্ষয়ক্ষতিরোধে প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে।
পাশাপাশি করোনা ভাইরাসের ঝুঁকি এড়াতে আশ্রয় কেন্দ্রে অবস্থান করা জনসাধারণকে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার জন্য সচেতন করা হয়েছে।
এছাড়াও প্রতিটি আশ্রয় কেন্দ্রে দুইজন নারী ও দুইজন পুরুষ আনসার সদস্যদের সার্বক্ষনিক দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।
জেলা প্রশাসনের মিডিয়া সেল সূত্রে জানা গেছে, চলমান করোনা ভাইরাসের প্রভাবকে মাথায় রেখে জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে আশ্রয় কেন্দ্রের সংখ্যা বৃদ্ধি করা হয়েছে।
মঙ্গলবার দিবাগত রাত সাড়ে এগারোটা পর্যন্ত জেলার দশটি উপজেলার এক হাজার ৭১টি আশ্রয় কেন্দ্রে প্রায় এক লাখ সাত হাজার ২৮৫ জন মানুষ আশ্রয় নিয়েছেন। এছাড়া দুই হাজার ৪৯৯টি গবাদিপশু আশ্রয় কেন্দ্রে উঠানো হয়েছে।
সূত্রে আরও জানা গেছে, জেলা প্রশাসকের নির্দেশে আশ্রয় কেন্দ্রগুলোতে পরিস্কার-পরিচ্ছন্নতা ও পর্যাপ্ত আলোর ব্যবস্থা এবং পানি সরবরাহসহ খাবারের ব্যবস্থা করেছেন স্ব-স্ব উপজেলার নির্বাহী অফিসারগণ।
পাশাপাশি জেলা প্রশাসকের নির্দেশে উপজেলা নির্বাহী অফিসারগণ ৭ নম্বর বিপদ সংকেত পেয়েই ঘূর্ণিঝড় আমফান মোকাবেলায় মঙ্গলবার দিনভর জনসাধারণকে আশ্রয়কেন্দ্রে আনার পাশাপাশি ব্যাপক মাইকিং করে সচেতন করেন।