ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) সব শিক্ষার্থীকে স্বাস্থ্যবিমার আওতায় আনা হচ্ছে। একই সঙ্গে অনলাইন ক্লাস কার্যক্রমের উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।
মঙ্গলবার (২ জুন) নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনের সেমিনার রুমে ডিনস কমিটির সভায় এসব সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান সভায় সভাপতিত্ব করেন।
সভায় করোনা পরিস্থিতিতে শিক্ষা কার্যক্রম সচল রাখার জন্য নানা বিষয়ে আলোচনা হয়। এ সময় অনলাইনে শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনার উদ্যোগ নিতে সংশ্লিষ্টদেরকে অনুরোধ জানানো হয়।
অনলাইন কার্যক্রমের জন্য প্রাতিষ্ঠানিক অবকাঠামো তৈরি ও সুযোগ-সুবিধা সৃষ্টির লক্ষ্যে প্রতিষ্ঠান (বিভাগ/ইনস্টিটিউট) এবং শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের কী কী চাহিদা ও ঘাটতি আছে তা সুনির্দিষ্টভাবে নিরূপণ করে সংশ্লিষ্ট ডিন/পরিচালকের মাধ্যমে রেজিস্ট্রারের কাছে পাঠানোর জন্য অনুরোধ জানানো হয়। এই চাহিদা নির্ধারণ কার্যক্রম সংশ্লিষ্ট ডিন/পরিচালক সমন্বয় করবেন।
সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ন্যূনতম প্রিমিয়ামে শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাসেবা দিতে নীতিমালা তৈরির জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষকে সভাপতি করে ছয় সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়।
কমিটির সদস্যরা হলেন—বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. তোফায়েল আহমদ চৌধুরী, বিজনেস স্টাডিজ অনুষদের ভারপ্রাপ্ত ডিন অধ্যাপক ড. মুহাম্মাদ আব্দুল মঈন, চিকিৎসা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ডা. শাহরিয়ার নবী, স্বাস্থ্য অর্থনীতি ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক ড. সৈয়দ আব্দুল হামিদ এবং ব্যাংকিং অ্যান্ড ইন্স্যুরেন্স বিভাগের অধ্যাপক ড. হাসিনা শেখ।
সভায় বলা হয়, শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য সচেতন, দায়িত্ব বোধসম্পন্ন ভালো গ্র্যাজুয়েট ও সুনাগরিক হিসেবে গড়ে উঠতে এই স্বাস্থ্যবিমা সহায়তা করবে।
সভায় টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার (এসডিজি) ১৭টি গোল ও ১৬৯টি টার্গেটের মধ্যে কোনটি কোন বিভাগ/ইনস্টিটিউট কীভাবে অর্জন করবে সে বিষয়ে ডাটাবেজ তৈরির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এই ডাটাবেজ প্রণয়নে অনুষদের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট ডিন এবং ইনস্টিটিউটের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট পরিচালক সমন্বয় করবেন। আগামী ৩০ জুনের মধ্যে রেজিস্ট্রারের দপ্তরে এই ডাটাবেজ জমা দেওয়ার জন্য অনুরোধ জানানো হয়ছে।
সভায় শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্যবিমা, টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জন এবং শিক্ষা কারিকুলাম উন্নয়নসহ বিভিন্ন বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়।