সৈয়দ এমরানুর রহমান স্টাফ রিপোর্টার, দেবিদ্বার ,কুমিল্লা:
কুমিল্লার দেবিদ্বার উপজেলার রসুলপুর ইউনিয়ন এর ঝিনাইয়া গ্রামে প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করতে মিথ্যা মামলা করার অভিযোগ উঠেছে ঝিনাইয়া গ্রামের মতিন মুন্সীর বিরুদ্ধে ওরুফে (মরকা মতিন) এক অনুসন্ধানে জানা যায়, চলতি বছরের জানুয়ারী মাসের ৭ তারিখে রাতের আঁধারে পরিকল্পিত ভাবে পূর্ব শক্রুতার জের ধরে ঝিনাইয়া গ্রামের সাইফুর রহমান শুভ নামে এক যুবক ছাত্রের উপর হামলা চালায় মতিন মুন্সী ওরুফে (মরকা মতিন)ও তার ছেলে জহিরুল ইসলাম মুন্সী ওরুফে (চাকা মিয়া)।
হামলার ঘটনায় গুরুত্বর আহত হলে স্থানীয়রা তাকে রাত আনুমানিক ৯ টার সময় দেবিদ্বার উপজেলা স্বাস্থ কমপ্লেক্স এর নিয়ে আসে অবস্হার অবনতি হলে তাকে পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরন করা হয় কিন্তু পরে আশংকা জনক অবস্থার কারনে সাইফুর রহমানকে রাজধানীর একটি হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয় । ঘটনার এক দিন পর আহত সাইফুর রহমান শুভ এর বড় ভাই ফয়সাল আহমেদ বাদী হয়ে দেবিদ্বার থানায় লিখিত অভিযোগ করে ১০/১০/২০২০ এবং মামলা নং ১০ দেবিদ্বার থানা ।
পরে দেবিদ্বার থানা পুলিশ ঘটনা যাচাই বাছাই করে কুমিল্লা জেলা বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করে । মামলাটি চলমান থাকা অবস্থায় ঘটনার মার্চ মাসের ৪ তারিখ মতিন মুন্সী বাদী হয়ে সাইফুর রহমান শুভ,ফয়সাল আহমেদ ও তাদের উভয়ের বাবা মোস্তফা কামাল মুন্সীর বিরুদ্ধে কুমিল্লা জেলা বিজ্ঞ আদালতে একটি মিথ্যা বানোয়াট ও ভিত্তিহীন মামলা দায়ের করেন উল্লেখ্য যেখানে মো:মোস্তফা কামাল মুন্সী শারিরীক ভাবে চলাফেরা করতে অক্ষম (ডাক্তারের সনদপত্র মোতাবেক) সেখানে তাহাকে আসামি করা হয়েছে ।এবং উক্ত মামলায় ঘটনার তারিখ উল্লেখ করা হয়েছে ৭/২/২০২০ বিকাল ৪ টা এবং মামলা দায়ের করা হয়েছে ৩/৪/২০২০ যা অত্যন্ত হাস্যকর এবং সরজমিনে পরিদর্শন করা জানা গেল উক্ত দিনের ঐ সময়ে ২য় আসামি ফয়সাল আহমেদ বিকাল ৩.১০ মিনিট থেকে ৬.৩৫ মিনিট পর্যন্ত তাহার বন্ধুর বাসায় এক অনুষ্টান উপস্হিত ছিল এবং সেখানকার সিসি টিভির ফুটেজ দেখে যা স্পষ্ট ।
বাদি মিথ্যা মামলা লিপিবদ্ধ করতে দিয়ে তাহার স্ত্রীর স্বামীর নামের জায়গায় নিজের নাম লিপিবদ্ধ করতে গিয়ে তাবাহুড়া করে ৩নং আসামিকে বাদীর স্ত্রীর স্বামী বানিয়ে দিয়েছে ।এ বিষয়ে স্থানীয়দের সাথে কথা বললে জানা যায়, বিগত জানুয়ারী মাসে হামলার পর মামলা দায়ের শেষে প্রতিপক্ষ-কে মামলা থেকে সরে আসতে বিভিন্ন ভাবে হুমকী ধামকী দেয়,এবং গ্রাম্য শালিসের মাধ্যমে বিষয়টি সমাধান করতে বিভিন্ন ভাবে চাপ দেয়।
কিন্তু মামলার বাদীর কাছে কোনো প্রকার সমাধান না পাওয়ায় তার প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করতে প্রায় ২ মাস পর আদালতে ভিত্তিহীন মিথ্যা মামলা দায়ের করে । এ ঘটনার বিষয়ে জানতে চাইলে মতিন মুন্সী বলেন,তাদের সাথে আমাদের ঝামেলা অনেক দিন আগে থেকেই । সামাজিক মাতবর দের পরামর্শে কাউন্টার মামলা করেছি আমি ।অন্যদিকে ভোক্তভোগী সাইফুর রহমান শুভ বলেন , মিথ্যা মামলা দিয়ে আমাদের কে হয়রানী করে যাচ্ছে ।আমাকে গুরুত্বর আহত করা হয়েছে ,যেখানে আমার ভাই মামলা দায়ের করেছে সেখানে আমাদের কে ঘায়েল করতে এই মিথ্যা মামলা দেওয়া হয়েছে । এবং আমার মামলার ১নং আসামি জহিরুল ইসলাম মুন্সী ওরুফে (চাকা মিয়া )ওমানে পালিয়ে যায় তার পর থেকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিভিন্ন প্রকার হুমকি দিয়ে আসছে যার তথ্য প্রমান আমাদের দেখিয়েছে ।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক তাদের পাশের বাড়ির একজন আমাদের জানান মতিন মুন্সীর (ওরুফে মরকা মতিন)পূর্বের ইতিহাস অত্যন্ত লজ্বাস্কর উক্ত গ্রামের অনেককে মতিন মুন্সী বিভিন্ন সময় গুপ্ত হামলা করেছে যার জন্য তাদের গ্রামে অন্তত মতিন মুন্সীর বিরুদ্ধে ১০ টি গ্রাম্য শালিশ করা হয়েছে এবং তার বড় ছেলে বিদেশে যাওয়ার আগে তাদের পাশের বাড়ির মোহাম্মদ জামাল ফকিরেরগচ্ছিত স্বর্ণ আত্মসাতের মাধ্যমে চুরি করে বিদেশে পালিয়ে যায় পরে তা পারিবারিক শালিশের মাধ্যমে সমাধান করা হয় ।
মতিন মুন্সীর ২য় ছেলে অতীত ইতিহাসে গ্রামের সবাই অতিষ্ট এবং যার কারনে পাশের সরকার বাড়ির সাথে মুন্সী বাড়ির কোরবানী ঈদ নিয়ে অনেক বড় ঝগড়া সংগঠিত হয় ও একই বাড়িতে আব্দুল হাকিম মুন্সীর সাথে ঝগড়া হয় যা পরে মামলায় যায় ,এবং মামলা এখনো চলমান ।মতিন মুন্সী দ্বারা তাহার চাচির মাথা ফাটানোর এবং চাচাদের চড়দিতে আসা ও বাবাকে লাঠি দিয়ে আঘাত করার মত অনেক ঘটনা রয়েছে ।