গত ৩১ জুলাই রাতে কক্সবাজারের টেকনাফে মেরিন ড্রাইভের শামলাপুর পুলিশ চেকপোস্টে অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তা মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান একজন পুলিশ সদস্যের গুলিতে মর্মান্তিকভাবে মৃত্যুবরণ করেন। অনাকাঙ্খিত এই ঘটনায় সেনাবাহিনী অত্যন্ত মর্মাহত।
প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে ইতোমধ্যেই স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে একটি উচ্চ পর্যায়ের যৌথ তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে, যারা গত ৪ আগস্ট থেকে তদন্ত কার্যক্রম শুরু করেছেন। গত ৫ আগস্ট সেনাবাহিনী প্রধান ও পুলিশের আইজিপি সরেজমিনে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন এবং স্ব স্ব বাহিনীর স্থানীয় কর্মকর্তাদের সাথে মতবিনিময় করেন ও প্রয়োজনীয় দিক নির্দেশনা প্রদান করেন।
আজ বৃহস্পতিবার আইএসপিআরের এক বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরো বলা হয়েছে, সেনাবাহিনী প্রধান ও পুলিশের আইজিপি উভয়ই ঘটনাটিকে একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা হিসেবে চিহ্নিত করেন এবং ঘটনায় সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের দায়ভার বাহিনী নেবে না বলে উল্লেখ করেন। উক্ত ঘটনায় দুই বাহিনীর দীর্ঘদিনের পারস্পারিক সুসম্পর্কে চিড় ধরবে না। সুষ্ঠুতদন্ত এবং সুবিচারের মাধ্যমে দোষী ব্যক্তিদের আইনের আওতায় আনা হবে ও সুষ্ঠুতদন্ত কার্যে কোনো প্রকার হস্তক্ষেপ করা হবে না এবং সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ ভাবে তদন্ত পরিচালিত হবে এই মর্মে স্ব স্ব বাহিনীকে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা প্রদান করেন।
এতে বলা হয়, অনাকাঙ্খিত এই ঘটনায় বাংলাদেশ পুলিশও অত্যন্ত মর্মাহত এবং পুলিশের পক্ষ থেকে আশ্বস্ত করা হয়েছে এটাই শেষ ঘটনা। ভবিষ্যতে এ ধরণের কোন ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটবে না। ঘটনা এলাকার আইন শৃংখলা স্বাভাবিক রাখতেও এলাকার মানুষের মাঝে আস্থা ফিরিয়ে আনতে উক্ত এলাকায় সেনাবাহিনী ও পুলিশের যৌথ টহল পরিচালনা করা হবে বলে সেনাবাহিনী প্রধান এবং পুলিশের আইজিপি উভয়ই সম্মত হয়ে স্ব স্ব বাহিনীকে নির্দেশনা প্রদান করেন। এই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত এবং দোষী ব্যক্তিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দুই বাহিনীর মধ্যে বিদ্যমান আস্থা আরও গভীর ও সুদৃঢ় করবে বলে উভয়ই আশাবাদ ব্যক্ত করেন।