করোনাভাইরাসের কারণে স্থবির হয়ে পড়েছিল ক্রিকেট তথা বিশ্ব ক্রীড়াঙ্গন। ১১৬ দিন পর ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে টেস্ট ক্রিকেট মাঠে ফিরিয়েছিল ইংল্যান্ড এন্ড ওয়েলস ক্রিকেট বোর্ড (ইসিবি)। ১৩৮ দিন পর আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজ দিয়ে ফিরেছে ওয়ানডে ক্রিকেট। এবার পালা টি-টোয়েন্টির। শুক্রবার থেকে পাকিস্তানের বিপক্ষে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ শুরু করছে ইংল্যান্ড। এর মাধ্যমেই ১৬৭ দিন পর ২২ গজে দেখা যাবে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট। ম্যানচেষ্টারে ইংল্যান্ড-পাকিস্তানের মধ্যকার প্রথম টি-টোয়েন্টি ম্যাচটি শুরু হবে বাংলাদেশ সময় রাত ১১টায়।
করোনার প্রার্দুভাব শেষ না হলেও গত ৮ জুলাই দীর্ঘ ১১৬ দিন পর টেস্ট ম্যাচ দিয়ে মাঠে ফিরে ক্রিকেট। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে তিন ম্যাচের টেস্ট সিরিজ খেলে ইংল্যান্ড। ২-১ ব্যবধানে সিরিজ জিতে ইংলিশরা। করোনার কারণে স্বাস্থ্য বিধি মানতে জৈব-সুরক্ষা পরিবেশ ও রুদ্ধদ্বার স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হয় দুটি টেস্ট ও একটি ওয়ানডে সিরিজ। বিশ্ব ক্রিকেট দেখলো ভিন্ন পরিবেশে টেস্ট-ওয়ানডে ম্যাচ। এবার টি-টোয়েন্টি ম্যাচ শুরুর অপেক্ষা। দুই দলেরই লক্ষ্য টি-টোয়েন্টি সিরিজ জয়।
টেস্ট-ওয়ানডের পর টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট মাঠে ফেরায় খুশি ইংলিশ অধিনায়ক ইয়োইন মরগ্যান, ‘আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজ খেলেছি আমরা। এবার পাকিস্তানের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলব। টেস্ট ও ওয়ানডের পর এবার টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটও ফিরছে মাঠে। এটি খুবই আনন্দের। আমরা মাঠে নামতে মুখিয়ে আছি। তবে এই সিরিজে আমাদের কঠিন পরীক্ষা দিতে হবে। কারণ এই ফরম্যাটে পাকিস্তান শক্তিশালী দল। তাদের হারানো সহজ হবে না। কিন্তু নিজেদের সেরাটা খেলতে পারলে, আমার সাফল্যের দেখা পাবো। আমাদের লক্ষ্য সিরিজ জয়।’
টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে গত বছরটা মোটেও ভালো কাটেনি পাকিস্তানের। ১০ ম্যাচে মাত্র ১টিতে জয়। তবে এ বছরের শুরুতে দেশের মাটিতে বাংলাদেশের বিপক্ষে তিন ম্যাচের সিরিজ ২-০ ব্যবধানে জিতেছে পাকিস্তান। এবার অভিজ্ঞদের সাথে তারুণ্যের মিশ্রনে টি-টোয়েন্টি সিরিজ জয়ের স্বপ্ন বাবর আজমের, ‘টেস্ট সিরিজ হারলেও দল হিসেবে আমরা ভালো খেলেছি। প্রথম টেস্টে ভাগ্য আমাদের সাথে ছিল না। নাহলে সিরিজের চিত্র অন্যরকম হতে পারত। দলের অনেকেই টেস্ট সিরিজে খেলেনি। তাই টি-টোয়েন্টি দলটি পুরো চাঙ্গা আছে। এই দল নিয়ে সিরিজ জয়ের ব্যাপারে আমি আশাবাদী।’