সোহেল রানা, মালয়েশিয়া প্রতিনিধি।

বাংলাদেশসহ ১২ দেশের নাগরিকদের মালয়েশিয়া প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা করোনাভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে মালয়েশিয়াজুড়ে রয়েছে চলমান রিকভারি মুভমেন্ট কন্ট্রোল অর্ডার (আরএমসিও)। যা শেষ হবে আগামী ৩১ ডিসেম্বর। বর্তমানে বেশ কয়েকটি দেশে কোভিড-১৯ রোগীর ক্রমবর্ধমান সংখ্যার বিষয়টি বিবেচনা করে এরইমধ্যে বাংলাদেশসহ প্রায় ১২টি দেশের নাগরিকদের মালয়েশিয়া প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে দেশটির সরকার।স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (৩ সেপ্টেম্বর) মালয়েশিয়ার রিকভারি মুভমেন্ট কন্ট্রোল অর্ডার (আরএমসিও) বাস্তবায়নের বিষয়ে বিশেষ মন্ত্রিপরিষদের বৈঠকে বিষয়টি নিয়ে সিদ্ধান্ত হয়েছে। এরপর কোভিড-১৯ এর নিয়মিত ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য জানিয়েছেন দেশটির জ্যেষ্ঠ মন্ত্রী দাতুক সেরি ইসমাইল সাবরি ইয়াকুব। এসময় তিনি বলেন, আগামী ৭ সেপ্টেম্বর (সোমবার) থেকে কার্যকরভাবে যুক্তরাষ্ট্র, ব্রাজিল, ফ্রান্স, যুক্তরাজ্য, স্পেন, ইতালি, সৌদি আরব, রাশিয়া এবং বাংলাদেশের পাশাপাশি ভারত, ইন্দোনেশিয়া এবং ফিলিপাইন থেকে দীর্ঘমেয়াদী পাসধারীদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। ফলে এইসব দেশের নাগরিকদের প্রবেশ করতে দেয়া হবে না।দেশটিতে যারা স্থায়ী নাগরিক, মালয়েশিয়ার মাই সেকেন্ড হোম পাস হোল্ডার, ভিজিট পাস, ওয়ার্ক পারমিট, স্পাউস অথবা স্বামী-স্ত্রী ভিসাধারী এবং প্রফেশনাল ভিসাধারী সবার ক্ষেত্রে এই নিষেধাজ্ঞা বহাল থাকবে। ইসমাইল সাবরি জানান, সরকার অন্যান্য দেশের পরিস্থিতিও পর্যবেক্ষণ করছে এবং অন্যান্য দেশের নাগরিকদের ক্ষেত্রেও একই ধরনের বিধিনিষেধ আরোপের সম্ভাবনা রয়েছে। তবে এখনও চূড়ান্ত হয়নি। তিনি আরও জানান, আমরা এখন অন্যান্য দেশগুলির দিকে নজর দিচ্ছি যেখানে কোভিড-১৯ এর ক্ষেত্রে দেড় লক্ষের বেশি আক্রান্ত দেশগুলো কোভিড ১৯ ধারণ করবে সেইসব দেশের জন্য নিষেধাজ্ঞা জারি থাকবে। এছাড়া তিনি আরও বলেন, উল্লেখিত যেসব দেশের জন্য প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে সেসব দেশে যদি কোন মালয়েশিয়ান নাগরিক থাকে তবে তাদের নির্ধারিত এসওপি প্রয়োগের মাধ্যমে দেশে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হবে। কারণ এটি সংবিধানের পরিপন্থী হওয়ায় আমরা আমাদের নাগরিকদের ফিরে আসতে বাধা দিতে পারি না। ইমিগ্রেশন আইনও আমাদের নাগরিকদের ফিরে আসতে বাধা দিতে পারে না। এদিকে, দেশটিতে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ১৪ জন। সব মিলিয়ে আক্রান্তের সংখ্যা ৯ হাজার ৩৭৪ জন এবং দেশটিতে এ পর্যন্ত করোনায় মারা গেছেন ১২৮ জন। এ পর্যন্ত সুস্থ হয়ে বাসায় ফিরেছেন ৯ হাজার ৮৩ জন।