নির্বাচন কমিশনের ইস্যু করা জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) এনেও শেষ রক্ষা হলো না রোহিঙ্গা যুবক ওবায়দুলের। রোহিঙ্গা সনাক্তে আলাদা সফটওয়্যারে আঙুলের ছাপ দিতেই বেরিয়ে আসে তার প্রকৃত পরিচয়। এভাবে চট্টগ্রামে পাসপোর্ট করতে এসে গ্রেপ্তার হয়েছেন মিয়ানমার থেকে আসা রোহিঙ্গা এক যুবক।
আজ বৃহস্পতিবার সকালে নগরীর পাঁচলাইশে আঞ্চলিক পাসপোর্ট কার্যালয়ে ওই যুবককে রোহিঙ্গা হিসেবে সনাক্তের পর পুলিশের কাছে তুলে দেওয়া হয়েছে। গ্রেপ্তার যুবক ওবায়দুল হক (২৫) ২০১৭ সালের আগে কক্সবাজারের সীমান্তপথ দিয়ে মায়ানমার থেকে বাংলাদেশে প্রবেশ করেন বলে ধারণা পাসপোর্ট কার্যালয়ের কর্মকর্তাদের।
নগরীর পাঁচলাইশের আঞ্চলিক পাসপোর্ট কার্যালয়ের উপপরিচালক মাসুম হাসান জানান, ওবায়দুল নির্বাচন কমিশন থেকে ইস্যু করা বাংলাদেশের এনআইডির অনুলিপি জমা দিয়ে পাসপোর্টের আবেদন করেন। ওই এনআইডি যাচাই করে দেখা গেছে, ওবায়দুল ২০১৬ সালের ১৮ অক্টোবর এনআইডি পেয়েছেন। সেখানে তিনি চট্টগ্রামের লোহাগাড়া উপজেলার চুনতি গ্রামের ঠিকানা ব্যবহার করেন। জন্ম তারিখ ১৯৯৬ সালের ১৮ এপ্রিল দেখানো হয়। বাবার নাম আবুল কালাম ও মায়ের নাম রাবিয়া খাতুন।
মাসুম হাসান বলেন, মিয়ানমার থেকে এসে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের সনাক্ত করা এবং এনআইডি সঠিক কি না, সেটি যাচাইয়ের জন্য আমাদের কাছে পৃথক সফটওয়্যার আছে। ওবায়দুল ফিঙ্গারপ্রিন্ট দেওয়ার পর সফটওয়্যারে রোহিঙ্গা হিসেবে সনাক্ত হয়।
ওবায়দুলের এনআইডি কার্ড পাওয়ার বিষয়ে চট্টগ্রামের আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা মুহাম্মদ হাসানুজ্জামানের দৃষ্টি আকর্ষণ করাহলে তিনি বলেন, ওবায়দুল হকের কাছে যে এনআইডি আছে, সেটি আসল নাকি ভুয়া সেটি যাচাই করা হবে। এরপর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।