বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, আগামী দুই মাসের মধ্যে সব অবৈধ গ্যাস লাইন অপসারণ করতে হবে। পরিকল্পিত এলাকার বাইরে বিদ্যুৎ-জ্বালানি সংযোগ দেওয়া যাবে না। অকোপ্যান্সি সার্টিফিকেট অনুসারে সংযোগ না নিলে দ্রুত সংযোগ বিচ্ছিন্ন করুন।
প্রতিমন্ত্রী সোমবার গ্যাস বিতরণ সংস্থাসমূহের কার্যক্রম নিয়ে ভার্চুয়াল আলোচনাকালে এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, কর্মকর্তাদের দুর্নীতি ও অসদাচারণের জন্যই রাজনীতিবিদদের বা সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হচ্ছে। কোন বিভাগের কোন কোন কর্মকর্তা অবৈধ কার্যক্রমের সঙ্গে জড়িত তাদের তালিকা করা হচ্ছে। কোনো কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আসলে প্রথমে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করে পরে অভিযোগ তদন্তের ব্যবস্থা নিন। ট্রান্সমিশন লাইনের ওপর কোনো বিল্ডিং বা স্থাপনা থাকলে দ্রুত অপসারণ করতে হবে। গ্যাসের বকেয়া বিল সংগ্রহের টাইম লাইন নির্ধারণ করুন। এ সময় বিল খেলাপীদের তালিকা হালনাগাদ করে মন্ত্রণালয়ে প্রেরণের নির্দেশ দেন।
প্রতিমন্ত্রী আরো বলেন, ইভিসি মিটার এবং প্রি-পেইড মিটার সব গ্রাহকের জন্য স্থাপন করতে হবে। অটোমেশন করার প্রক্রিয়াও ধীরগতিতে চলছে-যা কাঙ্খিত নয়। ট্রাস্কফোর্সের কার্যক্রমকে আরো গতিশীল করতে হবে। নারায়ণগঞ্জের দুঃখজনক ঘটনার জন্য তিনি মর্মাহত হন।
প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেন, তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন ও ডিস্ট্রিবিউশন কম্পানি লিমিটেডের ফতুল্লা এলাকায় যারা দায়িত্বে ছিলেন তারা সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করে নাই। তাদের শাস্তির আওতায় আনা প্রয়োজন।
উল্লেখ্য, নারায়ণগঞ্জ সালাত মসজিদে দুর্ঘটনার প্রেক্ষিতে তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন ও ডিস্ট্রিবিউশন কম্পানি লিমিটেডের ফতুল্লা অফিসের নিম্নোক্ত ৮ জন কর্মকর্তা-কর্মচারীকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়- ১. ব্যবস্থাপক প্রকৌ. মোহাম্মদ সিরাজুল ইসলাম, ২. উপব্যবস্থাপক প্রকৌ. মাহমুদুর রহমান রাব্বী, ৩. সহকারী প্রকৌশলী প্রকৌ. এস এম হাসান শাহরিয়ার, ৪. সহকারী প্রকৌশলী প্রকৌ. মানিক মিয়া, ৫. সিনিয়র সুপারভাইজার মো. মনিবুর রহমান চৌধুরী, ৬. সিনিয়র উন্নয়নকারী মো. আইউব আলী, ৭. সাহায্যকারী মো. হানিফ মিয়া এবং ৮. প্রকর্মী মো. ইসমাইল প্রধান।
ভার্চুয়াল এই আলোচনা সভায় অন্যান্যের মাঝে জ্বালানি বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. আনিছুর রহমান, পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান এবিএম আবদুল ফাত্তাহ্ ও বিতরণ সংস্থার ব্যবস্থাপনা পরিচালকরা উপস্থিত ছিলেন।