সিলেটে এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে তরুণীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় গ্রেপ্তার আট আসামির মধ্যে ছয়জনের ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে সিলেট ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে তাঁদের ডিএনএ সংগ্রহের পর পুনরায় তাঁদের পুলিশ হেফাজতে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
সিলেট মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার (গণমাধ্যম) জ্যোতির্ময় সরকার বিষয়টি কালের কণ্ঠকে নিশ্চিত করেছেন।
যাঁদের ডিএনএ সংগ্রহ করা হয়েছে তাঁরা হলেন মামলার প্রধান আসামি সাইফুর রহমান, শাহ মাহবুবুর রহমান রনি, অর্জুন লঙ্কর, রবিউল ইসলাম, আইনুদ্দিন ও রাজন। তাঁদের মধ্যে প্রথম চারজন এজাহারভুক্ত আসামি।
জানা যায়, দুপুর সাড়ে ১২টায় পুলিশ পাহারায় এই ছয়জনকে সিলেট ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। এরপর তাঁদের ডিএনএ সংগ্রহ করে দুপুর দেড়টার দিকে পুলিশ তাঁদের নিজ হেফাজতে নিয়ে যায়। এজাহারভুক্ত অন্য দুই আসামি তারেকুল ইসলাম তারেক ও মাহফুজুর রহমানকে শেষ পর্যায়ে গ্রেপ্তার করায় তাঁদের ডিএনএ পরে সংগ্রহ করা হবে বলে জানা গেছে।
এদিকে ধর্ষণের এই ঘটনায় সরকার শক্ত অবস্থান নিয়েছে জানিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও সিলেট-১ আসনের সংসদ সদস্য ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, ন্যক্কারজনক এ ঘটনায় জড়িত অপরাধীরা কেউ ছাড় পাবে না।