অভিযুক্ত সোহেল মুন্সি

পিরোজপুরের ভাণ্ডারিয়ায় ‘ধর্ম খালা’র বাসায় বেড়াতে এসে প্রতিবেশী এক বখাটে কর্তৃক ধর্ষণ চেষ্টার শিকার হন এক কলেজছাত্রী। এ সময় ওই কলেজ ছাত্রী ৯৯৯ সহায়তা চেয়ে কল দিলে পুলিশ তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে এসে অভিযুক্ত সোহেল মুন্সি (২৬) এবং ধর্ষণ চেষ্টায় সহায়তার অভিযোগে কলেজছাত্রীর ধর্ম খালা ফিরোজা বেগমকে (৪৫) গ্রেপ্তার করে। আজ মঙ্গলবার ভোর পাঁচটার দিকে শহরের লক্ষীপুরা মহল্লায় এ ঘটনা ঘটে।

অভিযুক্ত সোহেল শহরের লক্ষিপুরা মহল্লার মফিজুর ফিরোজ মুন্সীর ছেলে ও ফিরোজা বেগম শহরের লিয়াকত মার্কেট এলাকার মো. রফিকুল ইসলামের স্ত্রী।

থানা সূত্রে জানা গেছে, ভাণ্ডারিয়া পৌর শহরে লক্ষিপুরা মহল্লার হাইস্কুল সড়কে রিপন বেপারীর ভাড়াটিয়া ফিরোজা বেগম। তার বাসায় ভাণ্ডারিয়া সরকারি কলেজের এক ছাত্রীর জাতীয় পরিচয়পত্রসহ কিছু কাগজপত্র গচ্ছিত ছিলো। পিতামাতাহীন ওই কলেজছাত্রী ফিরোজা বেগমকে ধর্ম খালা হিসেবে সম্বোধন করতেন। সোমবার ওই ছাত্রী কাগজপত্র নিতে ফিরোজা বেগমের বাসায় আসে। আজ মঙ্গলবার ভোর পাঁচটার দিকে বাসায় প্রতিবেশী সোহেল  মুন্সী (২৬) ফিরোজা বেগমের ঘরে ঢুকে কলেজছাত্রীকে ধর্ষণের চেষ্টা চালায়। এ সময় মেয়েটি কৌশলে ৯৯৯ নম্বরের সহায়তা চেয়ে কল দেন। পরে ভাণ্ডারিয়া থানা পুলিশ তাৎক্ষণিক ওই কলেজছাত্রী উদ্ধার করে।

এ ঘটনায় ভূক্তভোগি মেয়েটি বাদী হয়ে আজ মঙ্গলবার নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে দুইজনকে আসামি করে ভাণ্ডারিয়া থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন।

ভাণ্ডারিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এসএম মাকসুদুর রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, ৯৯৯ কল পেয়ে পুলিশ তাৎক্ষণিক মেয়েটিকে উদ্ধার করে। অভিযুক্ত দুইজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ ঘটনায় কলেজছাত্রী বাদী হয়ে ভাণ্ডারিয়া থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন।