চিফ ক্রাইম রিপোর্টার:
মানবসভ্যতার একটাই দাবি সকল অপরাধীর শাস্তি হোক, একথা আমরা সকলেই বলি। আইন সর্ব ক্ষমতার আধিকারী তাই মানুষের ধারনা বিপদে আইনের সহযোগিতা সঠিক বিচার পাওয়ার একমাত্র উপায়। মানুষ বিপদে পরলে আইনের সরনাপন্ন হই এটাই স্বাভাবিক।কিন্তু সেই আদালত প্রাঙ্গনে হয় যদি অত্যাচার তবে সেটা কি অমানবিক নয়?। প্রতিটা সাধারন মানুষ আদালতে যায় সুবিচার পাওয়ার আশায় কিন্তুু বিচার পাওয়া তো দূরের কথা এ্যাডঃ জিয়াউর রহমান আইনের লোক হয়েও বাদীকে মারধোর করলো আদালত প্রাঙ্গনে এটা কি একজন আইনজীবি হয়ে আইনকে নিজের হাতে তুলে নেয়ার মত অপরাধ নয় কি?। এনিয়ে ভুক্তভোগী বাদী আইনের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এমন ঘটনার সুবিচার পেতে আইনের কাছে জোর অনুরোধ জানিয়েছেন।
উল্লেখ্যঃ গত, ৩০/১১/২০ ইং তারিখ পটুয়াখালী জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে অঙ্গীকার নামার একটি মামলা হয়।যাহার বাদী মোঃ সোহেল মাঝি, পিতাঃ বরজাহান মাঝি।উক্ত মামলার আসামি পক্ষ ১.অনামিকা আক্তার মনি, পিতাঃ রশিদ সিকদার (২). মমোতাজ বেগম স্বামী-রশিদ সিকদার, (৩). কবির সিকদার, পিতাঃ রাজ্জাক সিকদার, সাং- চর-গরবদী, থানা-দুমকী, জেলা-পটুয়াখালী।এরই জেরে আসামি পক্ষের এ্যাডঃ জিয়াউর রহমান বাদীকে আদালত প্রাঙ্গনে বেধরক মারধর করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
মামলা সুত্রে, বাদীর কাছ থেকে আসামী পক্ষ ২০১৫ ইং সালে জমি ক্রয় করার কথা বলে অঙ্গীকার নামা দিয়ে ১,৭০,০০০ (এক লক্ষ সত্ততর হাজার) টাকা নেয়।টাকা ফেরত দেওয়ার সময়সীমা অতিক্রম হলে, বার বার ধরনা ধরা সত্বেও টাকা ফেরত দেয়নি আসামি পক্ষ এছাড়াও বিভিন্ন তালবাহনার কথা বলে দিব দিব বলে ঘুরাতে থাকে।পরে বাদী সোহেল মাঝি তার টাকা ফেরত পেতে আইনি সহোযোগিতা পেতে পটুয়াখালী বিজ্ঞ ম্যাজেস্ট্রেট আদালতে অঙ্গীকার নামার মামলা করে। সোমবার (২১-১২-২০ ইং) তারিখ মামলার হাজিরার তারিখ থাকায় আদালতে উপস্থিত হয় বাদী সোহেল মাঝি। আদালতে হাজিরা শেষে সিড়ি দিয়ে নামতে গেলে আসামী পক্ষের উকিল জিয়াউর রহমানের সাথে দেখা হয়। তখন তাকে সালাম দিলে ক্ষিপ্ত হয়ে বাদীকে বলেন সালাম দিলি কেন? আমি তোর আসামীর উকিল বলে গালিগালাজ শুরু করে।শুধু তাই নয় আদালতের সিড়ি থেকে ধাক্কা দিয়ে বাদীকে ফেলে দেয়, তার সাথে থাকা মহুরী এসে এলোপাথাড়ি লাথি ঘুসী মারতে থাকে।তাকে অনেক বুজানের চেস্টা করেও থামাতে পারেনি।এক পর্যায়ে তার সাথে ৪-৫ জন যুক্ত হয়ে নতুন ম্যাজিস্ট্রেট কোর্ট থেকে কলার ধরে মারতে মারতে টেনে হিচড়ে উকিল বারে নিয়ে যায় বাদীকে। সেখানে তাকে মারধর করা হয়।এসময় ১ম পক্ষের উকিলকে আসতে সময় দেয়নি এ্যাডঃ জিয়াউর রহমান। তিনি বাদীকে হুমকি দিয়ে বলেন, কোর্টে কত স্যার র্যাব, পুলিশ, ছাত্রলীগ নেতা পিটাইছি তারাও কিছু করতে পারেনি।এক পর্যায়ে মামলা তুলে নিতে বলে নইলে জীবনের হুমকি আছে বলে সাশিয়ে ছেড়ে দেয়।