চুনারুঘাট প্রতিনিধিঃ
স্বামীর লিঙ্গ কেটে দীর্ঘ ৫ মাস পর জেল থেকে এসে ফের বে-সামাল চুনারুঘাটের গৃহবধূ দিলারা। এ অভিযোগ করেছেন তার প্রবাসী স্বামী ইছাক মিয়া ও তার স্বজনরা।
এ ব্যাপারে তিনি তার ২য় স্ত্রী বেলী বেগম কে দিয়ে হবিগঞ্জ কোর্টে মামলা দায়ের করেন।বিজ্ঞ আদালত মামলাটি চুনারুঘাট থানার ওসি কে তদন্ত করার নির্দেশ দেন।
এ দিকে অভিযুক্ত স্ত্রী দিলারা কে তালাক নামা পাঠান লিঙ্গহারা স্বামী ইছাক মিয়া।তিনি লিঙ্গ বিহীন জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে জীবন যাপন করছেন।ডাক্তার তাকে প্লাষ্টিক সার্জারি করে কোন রকম বাচিঁয়ে রেখেছে বলে জানান দুর্ভাগা ইছাক। তিনি বলেন আমার জীবনের সব কিছু শেষ! আমি এখন শুধু জীবন্তলাশ হয়ে আছি। আমার এত বড় ক্ষতি করবে স্ত্রী দিলারা কল্পনাও করতে পারিনি।আমার ইজ্জত বলতে এলাকাতে কিছুই নেই।ইছাক আরো বলেন, দিলারা কে আমি তালাক দিয়েছি তার পরও সে জোরপূর্বক আমার বাড়িতে বসবাস করছে।আমার জমিজমা,স্বর্ণালংকার ও নগদ টাকা দিয়েও ক্রান্ত হয়নি সে,এখন আমাকে প্রাণে হত্যার চেষ্টা করছে। লিঙ্গ হারিয়ে অসহায় ইছাক মিয়া দিলারার ভয়ে আবার বিদেশে পাড়ি দিয়েছেন। তিনি প্রশাসনের কাছে ন্যায় বিচার চেয়ে তালাকপ্রাপ্ত স্ত্রী দিলারা কে তার বাড়ি থেকে বের করে তার জীবন রক্ষা করার দাবী জানান।
চুনারুঘাট থানার ওসি আলী আশরাফ বলেন,ইতিমধ্য সে তার ন্যাক্কারজনক কাজের জন্য দীর্ঘদিন জেল কেটে এসেছে।তালাক কার্যকর হলে আইনানুযায়ী সে আর পুর্বের স্বামীর বাড়িতে থাকতে পারবে না। এরকম অভিযোগ পেলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে।