‘করোনা পরিস্থিতির কারণে চলতি বছরের এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা বাতিল করায় দুই পরীক্ষার ফলের গড় করে ফল প্রকাশ করতে অধ্যাদেশ জারি করতে হবে। শিগগির এই অধ্যাদেশ জারি হবে, তারপর ফল।’
আজ মঙ্গলবার (২৯ ডিসেম্বর) অনলাইনে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে এসব কথা বলেন, শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, পরীক্ষাসংক্রান্ত আইন রয়েছে, বিশেষ পরিস্থিতিতে ফল প্রকাশে একটি অধ্যাদেশ জারি করতে হবে। খুব শিগগিরই অধ্যাদেশ জারি করা হবে। তিনি বলেন, জেএসসি এবং এসএসসির বিষয়ের সঙ্গে সমন্বয় করে এইচএসসির ফল প্রকাশ করা হবে। কোন কোন বিষয় সমন্বয় করা হবে তা বিশেষজ্ঞরা মতামত দিয়েছেন।
শিক্ষামন্ত্রী আরো বলেন, কোনো শিক্ষার্থী ফলাফলে সংক্ষুব্ধ হলে তারা বোর্ডে আবেদন করতে পারবেন। আশা করি, সংক্ষুব্ধ হওয়ার মতো ঘটনা ঘটবে না। ফরম পূরণের অব্যয়কৃত অর্থ ফেরত প্রদানের সিদ্ধান্ত হয়েছে বলেও জানান শিক্ষামন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘ফরম পূরণের অব্যয়কৃত অর্থ ফেরত প্রদানের সিদ্ধান্ত হয়েছে। ফল প্রকাশের সঙ্গে সঙ্গে সংশ্লিষ্ট বোর্ড ওয়েবসাইটে নোটিশ প্রকাশ করবে।
গত ১ এপ্রিল থেকে এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা শুরুর কথা ছিল। তবে করোনা সংক্রমণের বিস্তার রোধে তা স্থগিত করা হয়।
এইচএসসি পরীক্ষা, ফল নির্ধারণসহ শিক্ষাসংক্রান্ত বিষয় নিয়ে এর আগে গত ৭ অক্টোবর সংবাদ সম্মেলেন করেন শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি। ওই সংবাদ সম্মেলনে তিনি জানিয়েছিলেন, করোনা পরিস্থিতির মধ্যে পঞ্চম ও অষ্টমের সমাপনীর পর এইচএসসি পরীক্ষাও বাতিল করা হবে। জেএসসি-জেডিসি এবং এসএসসির ফলাফলের গড় করে এবারের এইচএসসির ফল নির্ধারণ করা হবে।
এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফলাফলকে প্রাধান্য দিয়ে এবারের এইচএসসি সমমানের পরীক্ষার ফল দেওয়া হবে জানিয়ে শিক্ষামন্ত্রী আরো জানিয়েছিলেন, জেএসসি-জেডিসির ফলাফলকে ২৫ এবং এসএসসির ফলকে ৭৫ শতাংশ বিবেচনায় নিয়ে ফল ঘোষিত হবে।
মতবিনিময়কালে আরো বক্তব্য দেন মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব মো. মাহবুব হোসেন, কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বিভাগের সচিব মো. আমিনুল ইসলাম খান, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক সৈয়দ মো. গোলাম ফারুক।