শেখ সবুজ আহমেদ, ঝিনাইদহ থেকে:
ঝিনাইদহের শৈলকুপা পৌরসভা নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী কাজী আশরাফুল আজম বেসরকারিভাবে মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন। নৌকা প্রতীকে তিনি পেয়েছেন ৯ হাজার ৮৪৯ ভোট। এ নিয়ে আশরাফুল আজম তৃতীয় বারের মতো মেয়র নির্বাচিত হলেন।
তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের বিদ্রোহীপ্রার্থী তৈয়বুর রহমান খান বাবু জগ প্রতীকে পেয়েছেন ৭ হাজার ২৬৫ ভোট।
শনিবার উৎসবমুখর পরিবেশে ভোটারদের উপস্থিতিতে ঝিনাইদহের শৈলকুপা পৌর নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শেষ হয়। দুইটি কেন্দ্রে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া এবং আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী (স্বতন্ত্র) তৈয়বুর রহমানের গাড়ি ভাংচুরের ঘটনা ঘটলেও বাকি ১৩ কেন্দ্রে কোন ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। নির্বাচনে সকাল থেকে ভোট কেন্দ্রগুলোতে ভোটারদের দীর্ঘ লাইন দেখা যায়। সকাল থেকেই নারী ভোটারদের উপস্থিতি বেশি দেখা যায়।
নির্বাচনে মেয়র পদে চারজন, কাউন্সিলর পদে ৩৬ ও সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর পদে ১২ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দীতা করেন। নয়টি ওয়ার্ডের ২৮৬৩২ জন ভোটার ১৫ কেন্দ্রের ৯২ কক্ষের মাধ্যমে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন। এছাড়া অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে শুক্রবার থেকেই শৈলকুপা পৌর এলাকায় ১৫ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও দুইজন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের নিয়ন্ত্রনে দুই প্লাটুন বিজিবি, ৪শ পুলিশ এবং ১৩৫ জন আনসার সদস্য মোতায়েন করা হয়।
দ্বিতীয় ধাপের পৌর নির্বাচনে সবচেয়ে বেশি সহিংসতার ঘটনায় আলোচনায় আসা ঝিনাইদহের শৈলকুপায় ভোটের পরিবেশ শান্তই ছিল। একটি কেন্দ্র থেকে কয়েকশ গজ দূরে দুই প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দিলেও অন্য কেন্দ্রগুলোতে শান্তিপূর্ণভাবেই ভোট চলে।
গত বুধবার শৈলকুপা পৌর নির্বাচন ঘিরে সহিংসতায় দুজন নিহত হয়েছেন। প্রথমে রাত ৮টার দিকে দুই কাউন্সিলর পদপ্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষে এক প্রার্থীর ভাই আওয়ামী লীগনেতা লিয়াকত হোসেন বল্টু নিহত হন। এর পাঁচ ঘণ্টা পর দিবাগত রাত ১টার দিকে প্রতিপক্ষ কাউন্সিলর পদপ্রার্থী মো. আলমগীর খাঁন বাবুর লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।