চট্টগ্রাম ব্যুরো কামরুল হাসান,
চট্টগ্রাম নগরীর লালখান বাজার টাইগারপাস চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত মেয়র প্রার্থী রেজাউল করিমের নির্বাচনী প্রচারণায় আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষে অন্তত ১০ জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। আহতদের ৭ জনকে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।বাকি ৩ জন প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েই বাসায় ফিরে গেছেন। শনিবার (১৬ জানুয়ারি) বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে টাইগারপাস বটতল এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
লালখান বাজার এলাকায় আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী রেজাউল করিমের গণসংযোগ ছিল বিকেল সাড়ে ৫টায়। তবে নেতারা সেখানে পৌঁছার আগে ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক দিদারুল আলম মাসুমের নেতৃত্বে একটি মিছিল লালখান বাজার থেকে টাইগারপাস এলাকায় পৌঁছতেই সংঘর্ষের শুরু হয়। সংঘর্ষের জন্য দিদারুল আলম মাসুম ও কাউন্সিলর প্রার্থী আবুল হাসনাত মো. বেলাল একে অপরকে পাল্টাপাল্টি দোষারোপ করছেন। কাউন্সিলর প্রার্থী আবুল হাসনাত মোঃ বেলাল বলেন, দিদারুল আলম মাসুম কাউন্সিলর পদে দলীয় মনোনয়ন না পাওয়ার পর থেকে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের ওপর হামলা করছে। মেয়র প্রার্থী রেজাউল করিমের প্রচারণা উপলক্ষে আমাদের কর্মীরা এক সঙ্গে হলে মাসুমের অনুসারীরা আমাদের ওপর হামলা করে।
এতে আমাদের কর্মী মোজাম্মেল হোসেন সোহাগ, মাহমুদ ও শাহীন আহত হন। তাদের চমেক হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে বাসায় ফেরত আনা হয়েছে। এদিকে সংঘর্ষের জন্য কাউন্সিলর প্রার্থী আবুল হাসনাত মোঃ বেলাল কে দায়ী করে মাসুম বলেন, আমরা মিছিল নিয়ে লালখান বাজার থেকে টাইগার পাস পৌঁছাতেই অতর্কিত হামলা চালায় বেলালের সমর্থকরা। হামলায় আমাদের সাথে রেজাউল করিমের নৌকার সমর্থনে মিছিল করা ৭ জন গুরুতর আহত হয়েছে। এর মধ্যে ২ জন নারীও রয়েছে। বেলাল আমাকে নির্বাচন থেকে সরাতে চায়। এমনকি হত্যাও করতে চায়।
তবে মাসুমের অভিযোগ অস্বীকার করে বেলাল বলেন, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মাইনুদ্দিন হাসান চৌধুরী ভাই ও নগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বদিউল আলম ভাইও আমাদের সাথে আগে থেকে টাইগারপাস মোড়ে দাঁড়ানো ছিলেন। উনারা সব দেখেছেন, ঘটনার ভিডিও ফুটেজও আছে আমাদের কাছে। খুলশী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আফতাব হোসেন বলেন, বেলাল আর মাসুম গ্রুপের মধ্যে ঝামেলার খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক মধ্যে আছেন।