কৃষি মন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক এমপি বলেছেন, এবারের বন্যায় কৃষির ক্ষয়-ক্ষতির মুল্যায়ন করছি, জরিপ করছি। যদি তারা আমন ধান না লাগাতে পারে সেই ক্ষেত্রে তাদের পুর্নবাসনের অংশ হিসেবে বিনামূল্যে ভুট্টা, শরিষা, আলুসহ অন্যান্য শাকসবজি’র বীজ ও সার দেয়া হবে। এ জন্য রাখা হয়েছে ১২০ কোটি টাকা।
সারাদেশে বন্যাকবলিত এলাকায় আওয়ামী লীগের ত্রাণ বিতরণের অংশ হিসেবে ২৪ জুলাই বুধবার মানিকগঞ্জের দৌলতপুর উপজেলার বাঁচামারা ইউনিয়নের বন্যাদুর্গতদের মাঝে ত্রান বিতরণশেষে মন্ত্রী সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে এ কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থদের নিজ বাড়ি ফিরে যেতে সহযোগিতা দেয়া হবে। এই মুহুর্তে খাদ্যের কোন সংকট নেই। একজন ব্যক্তিও যাতে অনাহারে না থাকে সে দিকে লক্ষ্য রেখে দুর্গতদের মাঝে চাল, ডাল ও তেলসহ প্রয়োজনীয় খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করা হবে।
তিনি আরো বলেন, আমাদের দেশ নদীমাতৃক দেশ। ভাঙন ও বন্যা স্বাভাবিক ব্যাপার। তবে বর্তমান সরকার বন্যা ও ভাঙন মোকাবেলায় স্থায়ী পদক্ষেপ গ্রহন করেছেন। চাঁদপুর থেকে পদ্মা ও যুমনা নদী ড্রেজিং করা হবে। এতে নদীর গভীরতা বৃদ্ধি পাবে এবং ড্রেজিংয়ের মাটি নদীর পাড়ে ফেলে বাঁধ নির্মাণ করা হলে নদী ভাঙন রোধ হবে।
ত্রাণবিতরণকালে মন্ত্রীর সাথে আরো উপস্থিত ছিলেন সাবেক মন্ত্রী মির্জা আজম এমপি, আওয়ামীলীগের সংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক অসিম কুমার উকিল এমপি, স্থানীয় সংসদ সদস্য নাঈমুর রহমান দুর্জয়, আওয়ামীলীগের তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আফজাল হোসেন, ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক সুজির রায় নন্দী, শিক্ষা ও মানব সম্পদ বিষয়ক সম্পাদক শামসুন নাহার চাপা, জেরা আওয়ামীলীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট গোলাম মহীউদ্দীন, সাবেক সাধারণ সম্পাদক গাজী কামরুল হুদা সেলিম, শিবালয় উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান রেজাউর রহমান খান জানু, দৌলতপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নূরুল ইসলাম রাজা, হরিরামপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান দেওয়ান সাইদুর রহমান।
এরপর, মন্ত্রী শিবালয় উপজেলার অন্বয়পুর ও হরিরামপুর উপজেলার বাহাদুরপুর এলাকায় ত্রাণ বিতরন করেন। তিনটি উপজেলায় তিন হাজার পরিবারের মাঝে চাল, ডাল, তেল, লবন, আলুসহ শুকনা খাবার বিতরণ করে।