কারাবিধি লঙ্ঘন করে নারীর সঙ্গে বন্দির সময় কাটানোর ঘটনায় কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার-১-এর জ্যেষ্ঠ জেল সুপার রত্না রায়, জেলার নূর মোহাম্মদ মৃধা ও ডেপুটি জেলার গোলাম সাকলায়েনসহ ১১ জনকে বরখাস্ত করা হয়েছে। বাকি আটজনের মধ্যে ছয়জন কারারক্ষী, একজন সহকারী প্রধান কারারক্ষী এবং একজন সার্জেন্ট ইনস্ট্রাক্টর রয়েছেন। বরখাস্ত হওয়া সবাই ঘটনার সময় কারাগারের দায়িত্বে ছিলেন।
এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে গতকাল বৃহস্পতিবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে কারা অধিদপ্তরে চিঠি পাঠানো হয়েছে।
গতকাল রাতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান সাংবাদিকদের জানান, ঘটনার পর গঠিত কমিটির সুপারিশ অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য সুরক্ষা সেবা বিভাগের সচিবকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। প্রতিবেদনটি পর্যালোচনা করে তদন্ত কমিটির সুপারিশ অনুযায়ী দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
সূত্র জানায়, এ বিষয়ে তদন্ত কমিটি ৪৯ পৃষ্ঠার একটি তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিয়েছিল। যেখানে ১৮ কর্মকর্তা ও কারারক্ষীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করা হয়েছে। ওই ঘটনায় গত ২১ জানুয়ারি তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে কারা কর্তৃপক্ষ।
গত ৬ জানুয়ারি কাশিমপুর-১ কারাগারে বন্দি তুষারের সঙ্গে তাঁর দ্বিতীয় স্ত্রী কারাবিধি ভঙ্গ করে দেখা করতে যান। মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময়ে তাঁরা একটি কক্ষে একান্তে সময় কাটানোরও সুযোগ পান বলে অভিযোগ ওঠে। বিষয়টি গোয়েন্দা সংস্থার নজরে আসার পর তদন্ত শুরু হয়। গণমাধ্যমে এ সংবাদ প্রচারের পর সারা দেশে বিষয়টি নিয়ে তোলপাড় শুরু হয়। গঠিত হয় দুটি তদন্ত কমিটি। এর মধ্যে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে গাজীপুর জেলা প্রশাসকের কার্যালয়। আরেকটি উচ্চপর্যায়ের তদন্ত কমিটি করে কারা অধিদপ্তর। এ তদন্ত কমিটির প্রধান করা হয়েছিল অতিরিক্ত আইজি প্রিজন্স কর্নেল আবরার হোসেনকে।