চট্টগ্রাম ব্যুরো কামরুল হাসান
চট্টগ্রাম নগরীর কর্নফুলি থানার পুলিশ ফাড়ীর আধা কিলোমিটার দূরত্ব টানেল এর পাশে থেকে গত ০২/০৩/২০২১ ইংরেজি তারিখে আনুমানিক রাত ১১ঃ৪৫ মিনিটের সময় ডাম্প ট্রাক চুরির সিন্ডিকেটের সদস্য তৈরি করার কারিগর গডফাদার এ-ই বাবা এবং ছেলে।
যানা গেছে যে চুরি হওয়া ডাম্প ট্রাকের মুল মালিক আগ্রাবাদ নিবাসী মুক্তিযোদ্ধার সন্তান শেখ ফরিদুল আনোয়ার। তিনি এই ডাম্প ট্রাকটি ২০১৬ সালে ক্রয় করেন। দীর্ঘদিন যাবত এই ট্রাকটি বিভিন্ন জায়গায় চুক্তিতে ভাড়ায় দিয়েছিলেন বলে এই প্রতিবেদক কে বলেন।২০১৯ সালের পর পর তিনি ব্যাবসায়ীক চাপের কারনে গাড়ী টি পরিচালনা করতে কষ্ট হয়ে যাচ্ছেন একপর্যায়ে তিনি ৫০% ভাগে একজন পার্টনার হিসেবে মোহাম্মদ আলীকে যুক্ত করে ভাড়া ও রক্ষনাবেক্ষন করার জন্য সকল দায়িত্ব তাকে বুজিয়ে দেওয়া হয়।
এই ভাবে ডাম্প ট্রাকের চুক্তি মাধ্যমে বিভিন্ন ব্যাবসায়ীদের সাথে ব্যবসা করে যাচ্ছেন ।এদিকে গত বছরের শেষ পযার্য়ের দিকে আনোয়ারা টানেলের কাজে জন্য একজন ব্যাবসায়ীর সাথে চুক্তিতে আবদ্ধ হয়ে ভাড়ায় ট্রাকটি তাদের নিকট হস্তান্তর করা হয়। দুই মাস না যেতেই ট্রাকটির বেশ কয়েক বার ইঞ্জিনের অনেক সমস্যা দেখা দেয় তখন একটি জায়গায় ট্রাক টি আটক অবস্থায় পরে থাকে । এই জন্য মালিক পক্ষ ভাড়া থেকে নিয়ে এসে উক্ত ট্রাকটি বিক্রয়ের সিদ্ধান্ত নেয়। কয়েকজন এর সঙ্গে ক্রয় বিক্রয়ের বিষয়ে আলোচনা হয়। তখনই একজন পাটি গাড়ীটি ক্রয় করার জন্য সিধান্ত হয়। তাঁর নাম আমিনুল ইসলাম আমিন ক্রেতা সেজে সে ডাম্প ট্রাকের মালিকের সঙ্গে ৮,৫০,০০০ আট লক্ষ পঞ্চাশ হাজার টাকা বিক্রি করা জন্য চুড়ান্ত সিধান্ত হয়। আমিনুল ইসলাম আমিন গত ০১/০৩/২০২১ তারিখে বিকেল ৫ টা সময় মালিক পক্ষ কে ১,০০,০০০ এক লক্ষ টাকা টোকেন মানি হিসেবে দিয়ে ৩০০ টাকার স্ট্যাম্প মুলে একটি চুক্তি নামা সম্পন্ন করেন। চুক্তিনামা সম্পুর্ন হওয়ার পরের দিন ৮ঃ৩০ মিনিটের সময় মালিক থেকে কিছু ডকুমেন্ট নিয়ে বি,আর,টি, থেকে যাচাই-বাছাই করার কথা বলে নিয়ে আসেন। ০২/০৩/২০২১ তারিখ বিকেল ৪ ঘটিকার সময় ট্রাকের মালিক কে আরও ২ লক্ষ টাকা দিয়ে তিন দিনের ভেতর বাকী ৫ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা পরিশোধ করবে বলেন। চুর সিন্ডিকেটের সদস্য আমিনুল ট্রাকের মালিক কে জানান। উক্ত গাড়ীর ডকুমেন্ট আমিনুলের নিকট হতে ফেরত চাইলে তিনি বলেন,গাড়ীটা যেহেতু আমি ক্রয় করবো ডকুমেন্ট সব কিছু আমি আপডেট করতে হবে। বি,আর,টি অফিসের মধ্যে দিয়ে দিয়েছি। এই প্রতারনা শুরু করেন আমিন আরও বলেন কোন সমস্যা না আমি আপনাকে বাকী টাকা যখনই পরিশোধ করবো তখন গাড়ীর চাবি সহ সব ডকুমেন্ট এবং নাম পরিবর্তন করার পরে গিয়ে আমি উক্ত ট্রাকটি নিয়ে যাব। সুতরাং ডকুমেন্ট নিয়ে চিন্তা করার কিছু নেই বলে প্রতিশ্রুতি দিয়ে যায় মালিক পক্ষ কে প্রতারক আমিনুল। এই দিকে ট্রাকের মালিক পক্ষ দৈনিক চৌকস কে বলেন, টোকেন মানি হিসেবে দিবেন বলে একটি চুক্তিনামা হয়। তার মাঝে ৭দিন অতিবাহিত হলেও সে বাকী টাকা দিতে পারেনি। প্রতারক সদস্য আমিনুল ইসলাম কে বার বার ফোন করলে বলেন আজ দিব কাল দেব বলে দিনের দিন অতিবাহিত করতে থাকে। একপর্যায়ে কোন যোগাযোগ না করার কারনে মালিক পক্ষ তখনই আমিনুল কে সন্দেহ হয়। তখন আমরা খুঁজ নিয়ে দেখি গাড়ীটা চুরি করে নিয়ে আসছেন কে বা কাহারা। চট্টগ্রাম আতুর ডিপো এলাকার চুর সিন্ডিকেট লিডার বাবা এবং ছেলে। আমরা ট্রাকটির খোঁজ খবর নিতে গেলে কর্তব্যরত দারোয়ান জানান উক্ত ট্রাকটি ৫/৬ জন লোক এসে গাড়ীটা নিয়ে গেছে। এইটা কেমন করে হয়। যে কিছু লোক এসে প্রকাশ্যে গাড়ী নিয়ে যাবে এমন প্রশ্নের জবাবে দারোয়ান বলেন,যারা গাড়ীটি নিয়ে গেছে তারা তাকে ১০০০ টাকা চা নাস্তা খাওয়ার জন্য দিয়ে গেছেন। ট্রাকের মালিকের সঙ্গে আমাকে ফোনে কথা বলিয়ে দেওয়ার পরে আমি দিয়েছি। আর আমি নতুন কর্মস্থলে এসেছি মাত্র তাই ট্রাকের মালিক পক্ষ কে বা কারা জানতাম না স্যার,আমাকে মাফ কইরা দেন,আমার চাকুরী চইলা গেলে আমার পরিবার না খাইয়া মা-রা যাবে স্যার।
ট্রাকটি চুরি হওয়ার পরদিনই ঘটনার আওতাধীন থানায় গিয়ে একটি অভিযোগ করা হয়। চোর চক্রের সদস্যদের খোঁজে মালিক পক্ষ গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ করলে তখনই আমিনুল ইসলাম আমিন এর বাহির হয়ে আসেন ।তাকে আটকের পর এই চুরির সংঘবদ্ধ পরিকল্পনাকারী কে বা কারা ছিলেন একে একে সকল তথ্য বেরিয়ে আসেন।
নগরীর সকল চোরাইকৃত গাড়ী ক্রয় করেন কথিত এই করিম অটো মোবাইলস। এর মালিকের ছেলে রনি চৌধুরী বলেন যে ডকুমেন্ট এর কোন সমস্যা নাই। আমি এইখানে বসে সব কিছু নিয়ন্ত্রণ করি। বি,আর,টি, এডি নাকি চোরের লিডার রনি চৌধুরী কাকা ।
আমাদের দৈনিক উচ্চকণ্ঠ চট্টগ্রাম ব্যুরো সহ আর-ও সংবাদকর্মী অনুসন্ধান করতে গিয়ে ডাম্প ট্রাক চোরের লিডার সহ সকল চুর চক্রের রহস্য উদঘাটন করা হয়। একপর্যায়ে চোর সিন্ডিকেটের একজন সদস্য এই 01920943057 মোবাইল নাম্বার থেকে
ফোন দিয়ে নিজেকে একজন চট্টগ্রাম জজ কোটের এডভোকেট উমর ফারুক পরিচয় দিয়ে বলেন অযথা কোন কিছু বারাবাড়ি করার চেষ্টা করবেন না। আপনাদের কোন কিছু চুরি হলে প্রশাসন কে নিয়ে আসবেন। না হয় আদালতে দাড়াতে হবে কিন্তু। এই ব’লে দৈনিক উচ্চকণ্ঠ চট্টগ্রাম ব্যুরো হুমকি দিচ্ছেন। আরও বলেন যে উনার কাকা একজন জজ চট্টগ্রাম কোটে আছেন। এবং এডভোকেট পরিচয় দেওয়া উমর ফারুক বলেন যে উনার বড় ভাই পুলিশ অফিসার সে চট্টগ্রাম সিআইডি মধ্যে আছে। এই চুর সিন্ডিকেট সদস্য আমীন এর বর্তমান ঠিকানা নগরীর ডাবলমুরিং থানা এলাকায় হওয়ায় ডবলমুড়িং মডেল থানায় একটি অভিযোগ করা হয়।এই অভিযোগ এর বিষয়ে জানতে চাইলে ডবলমুরিং থানার সেকেন্ড অফিসার উচ্চকণ্ঠ কে বলেন। একটি ডাম্প ট্রাক চুরির অভিযোগ পেয়েছি আমরা এই অভিযোগ তদন্ত সাপেক্ষে এই আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। চুর চক্রের সদস্য মধ্যে (১)আমিনুল ইসলাম। আমিন,মনছুরাবাদ।
(২)মোঃ করিম কোম্পানি
(৩)রনি চৌধুরী
পিতা-মো করিম কোম্পানি আতুর ডিপো বায়েজিদ থানা।
(৪)মোঃ মুসা, ঈদগাহ পাহারতলী।
(৫)মোঃতাহের সিতাকুন্ড থানাধীন এলাকা।
(৬)ড্রাইভার-২ জন অজ্ঞ্যাত দুইজন জড়িত আছেন।