নিষিদ্ধঘোষিত জঙ্গি সংগঠন জামায়াতুল মুজাহিদীন বাংলাদেশের (জেএমবি) গুরুত্বপূর্ণ নেতা রেজাউল হক ওরফে রেজাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তিনি তানভীর মাহমুদ শিহাব ওরফে আহনাফ নামেও পরিচিত। রেজাউল জেএমবির ভারপ্রাপ্ত আমির হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন বলে পুলিশের দাবি।
পুলিশের সূত্রগুলো জানায়, ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিট শনিবার বিশেষ অভিযান চালিয়ে রাজধানীর বাড্ডা এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে।
সিটিটিসির স্পেশাল অ্যাকশন গ্রুপের বোম্ব ডিজপোজাল টিমের অতিরিক্ত উপকমিশনার (এডিসি) মোহাম্মদ রহমত উল্যাহ চৌধুরী গণমাধ্যমকে জানান, গ্রেপ্তার রেজাউল হক বর্তমান জেএমবির শীর্ষ নেতা। তিনি ভারপ্রাপ্ত আমিরের দায়িত্ব পালন করছিলেন। তাকে গ্রেপ্তারের জন্য দীর্ঘদিন ধরে চেষ্টা চলছিল। ভারপ্রাপ্ত আমিরের পাশাপাশি সংগঠনটির দাওয়া ও বায়তুল মাল বিভাগের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন রেজাউল।
পুলিশের দাবি, জেএমবির শীর্ষ নেতা পলাতক সালাহউদ্দীন সালেহীনের নির্দেশে বাংলাদেশে জেএমবির কার্যক্রম পরিচালনা করছিলেন রেজাউল। ২০০৫ সালে সারা দেশে ঘটে যাওয়া সিরিজ বোমা হামলায় তার সংশ্লিষ্টতা থাকায় গ্রেপ্তার করা হয়েছিল।
পরে ২০১৭ সালে তিনি জামিন পেয়ে ফের জেএমবির কার্যক্রমে যুক্ত হন। তার বিরুদ্ধে ভাটারা থানায় সন্ত্রাস বিরোধী আইনের একটি মামলা তদন্তাধীন। এ ছাড়া তার বিরুদ্ধে জিআরপি ও বিমানবন্দর থানার দুটি মামলা আদালতে বিচারাধীন।
সিটিটিসি জানায়, জেএমবির বর্তমান সাংগঠনিক কাঠামোয় ভারপ্রাপ্ত আমির রেজাউল জেএমবির একমাত্র শুরা সদস্য। দেশব্যাপী সাংগঠনিক সফরের মাধ্যমে তিনি সদস্য সংগ্রহের জন্য দাওয়াতি কার্যক্রম পরিচালনা করেন। সারা দেশের জেএমবির সদস্যদের কাছ থেকে চাঁদা সংগ্রহ করে সংগঠনের ফান্ড (বায়তুল মাল) সমৃদ্ধ করছিলেন।
এ ছাড়া তিনি সংগঠনটির বিভিন্ন পর্যায়ের কারাবন্দি সদস্যদের পরিবারের কাছে বার্ষিক আর্থিক সহায়তা কার্যক্রম পরিচালনা করছিলেন। সারা দেশে থাকা জেএমবির সদস্যদের কাছে অনলাইনে নিয়মিত উগ্রবাদ বিষয়ে বক্তব্য প্রচারের অভিযোগ রয়েছে রেজাউলের বিরুদ্ধে।