মোঃ আব্দুল হান্নান, ক্রাইম রিপোর্টার, সিলেট

চুনারুঘাট উপজেলার হলহলিয়া গাজীপুর গ্রামের মৃত আব্দুল মনাফ এর পুত্র সালেক মিয়া (৪৫) এর বিরুদ্ধে প্রবাসীর জমির গাছ কেটে নিয়ে ওই প্রবাসীর পরিবারের সদস্যদের হুমকির অভিযোগ উঠেছে।
জানা যায়, গত ৩ বছর ধরে উপজেলার উপজেলার পাইকপাড়া ইউনিয়নের হলহলিয়া গাজীপুর গ্রামের মৃত আব্দুর রহমানের পুত্র মালদ্বীপ প্রবাসী তাজউদ্দীন গাছগাছালি সহ ৫ শতক জমি ক্রয় করে তাহা ভোগ দখল করে আসছিলেন।
জমিটি বিক্রি করেন আজমখাল বাগানের কালু মালের পুত্র চা শ্রমিক বাদল মাল। ২০১৭ সালে তাজ উদ্দিনের ক্রয়কৃত এ জমির দলিল নং ১৮৬৭/১৭।
তাজ উদ্দিনের পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, মাস খানেক আগে ওই জমি থেকে নিজের দলবল নিয়ে চারটি কাঠের গাছ কেটে নেয় ছালেক মিয়া। এ সময় তাজ উদ্দিনের ভাবি হাসিনা খাতুন বাঁধা দিলে ছালেক হাসিনার দিকে তেড়ে আসে এবং ভয়ভীতি দেখায়। হাসিনা বিষয়টি স্থানীয় মুরুব্বিয়ানদের অবগত করলে একাধিক বার সালিশ বৈঠকে নিষ্পত্তি করার তারিখ হলেও ছালেক বিভিন্ন অজুহাতে সেই সালিশ এড়িয়ে যায়।
সবশেষে স্থানীয় ওয়ার্ড মেম্বার আঃ রউফ খান বিষয়টি স্থানীয় চেয়ারম্যান সহ নিষ্পত্তি করার তারিখ করলে ধার্যকৃত তারিখের আগেই তিনি অসুস্থ হয়ে চিকিৎসার জন্য ঢাকায় চলে যান।
এর ফাঁকে গত সপ্তাহে ছালেক আরো দুইটি গাছ কাটতে শুরু করলে হাসিনা পূণরায় বাঁধা দেন।
তখন ছালেক জন সম্মুখে হাসিনা ও তার পরিবারের ক্ষতি করবেন বলে হুমকি দেন।
হাসিনার স্বামী দেবর প্রবাসে থাকায় সব সময় ভয়ে দিন কাটাচ্ছেন।
বিষয়ে জমির বিক্রেতা বাদল মালের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমি তাজ উদ্দিনের কাছে গাছ সহ জমি বিক্রি করে দিয়েছি।’
স্থানীয় মুরুব্বি জামাল জানান, ছালেকের গাছ কেটে নেওয়ার ব্যাপারে তারা অবগত। নানান কারণে বিষয়টি সালিশে নিষ্পত্তি হচ্ছে না।
সাবেক মেম্বার ত্রিপুরাময় জানান, তার জানা মতে ক্রয়সূত্রে জমি ও গাছ দুইয়ের মালিকই তাজ উদ্দিন। ছালেক কেনো গাছ গুলো কেটে নিচ্ছে তিনি তা জানেন না।
স্থানীয় ওয়ার্ড মেম্বার আঃ রউফ খান জানান, ছালেক তাজ উদ্দিনের চেয়ে অনেক প্রভাবশালী। অসুস্থ হওয়ার আগে তিনি ছালেকের প্রতি গাছ গুলো যেখান থেকে কাটা হয়েছে সেখানে এনে রাখার শর্তে সালিশের তারিখ করেছিলেন। এরপর তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরে ছালেক তার সাথে যোগাযোগ করলেও তাজ উদ্দিনের পরিবারের পক্ষ থেকে কেউ যোগাযোগ করেনি।
বিষয়ে ছালেকের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি গাছ কেটে নিয়ে যাওয়ার কথা স্বীকার করে বলেন, তাজ উদ্দিন জমি কিনার বেশ আগে তিনি গাছ গুলো বাদল মালের ভাইয়ের কাছ থেকে ক্রয় করেছিলেন। তখন গাছগুলো ছোট ছিল বলে কাটেন নি। এখন বড় হয়েছে। তাই কেটে নিচ্ছেন।
গাছ কেনার বিষয়টি ইতিমধ্যে আর কাউকে জানিয়েছেন কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, বাদল মালের ভাই আর তিনি ছাড়া অন্য কাউকে জানানো হয় নি।
ঘটনায়, তাজ উদ্দিনের ভাবি হাসিনা খাতুন তিন শিশু সন্তানকে নিয়ে ভয়ে আতংকে দিন কাটাচ্ছেন বলে জানান । তিনি বিষয়ে যথাযথ কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন।