এস এম রাজু আহমেদ ঃরাজধানীর যাত্রাবাড়ী মোড়স্থ ট্র্যাফিক পুলিশের সার্জেন্ট চন্দন কুমারের বিরুদ্ধে দিনের বেলা চলাচল নিষিদ্ধ পন্যপরিবহন থেকে নিয়মিত মাসোয়ারা গ্রহনের অভিযোগ উঠেছে। তিনি কমলাপুর আইসিডির দালাল মাসুমের নিয়ন্ত্রনাধীন ১২০টির মতো কাভার্ডভ্যান, কার্গো ও টেইলর জাতীয় প্রতি গাড়ী থেকে মাসে ১শ টাকা হারে এই মানতি আদায় করে থাকেন। বিনিময়ে মাসুমের এই গাড়ীগুলোকে যাত্রাবাড়ী জোন দিয়ে দিনে বেলা অবাধে চলাচলের সুযোগ করে দেন।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, কমলাপুর আইসিডি থেকে ৩শ’র উপরে কাভার্ডভ্যান, কার্গো ও টেইলর প্রভৃতি পরিবহন বিভিন্ন প্রকারের মালামাল নিয়ে দেশের বিভিন্ন প্রান্তরে ছুটে চলেন। তবে এই পরিবহন গুলো দিনের বেলা অর্থাৎ ভোর ৬টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত সময়ে রাজধানীর ভিতরে চলাচল সম্পূর্ন নিষিদ্ধ। আর এই নিষিদ্ধ সময়ে গাড়ীগুলো যাতে নির্বিঘ্নে চলাচল করতে পারে সেই জন্যে গাড়ীর মালিকরা সংশ্লিষ্ট রুটের টিআই ও সাজেন্টদের সাথে দালালের মাধ্যমে নিদিষ্ট হারে মাসিক মানতির চুক্তিতে আবদ্ধ হন। এতে আর কোন সমস্যায় পড়তে হয় না। সুত্র জানায়, আইসিডির এসব পরিবহন খাতের সুপরিচিত দালাল হচ্ছে মাসুম। সে প্রতি গাড়ী থেকে মাসিক ২ হাজার টাকা হারে ১২০টির মতো গাড়ী থেকে প্রায় আড়াই লাখ আদায় করে থাকেন।
আর এই টাকা থেকে সে ওয়ারী জোনের টিআই-সার্জেন্টদের জন্য ৫শ টাকা, যাত্রাবাড়ী জোনে ৫শ এবং ডেমড়া জোনের জন্য ৫শ টাকা হারে মানতি দিয়ে বুকিং করে নিয়েছেন। এদের মধ্যে যাত্রবাড়ী জোনের সার্জেন্ট চন্দন কুমার অন্যতম। গাড়ী প্রতি ১শ টাকা হারে সে মাসুমের নিকট থেকে মাসে ১০/১২ হাজার টাকার উপরে পেয়ে থাকেন। বিনিময়ে সে মাসুমের কোন গাড়ী আটক করে মামলা দেন না। এমনি কি যাত্রাবাড়ী জোন এলাকার মধ্যে কোন সার্জেন্ট মাসুমের গাড়ী আটক করলে সার্জেন্ট চন্দনই আবার তদবির করে সেগুলো ছাড়িয়ে দেন।
পাশাপাশি কোন গাড়ীর মালিক দালাল মাসুমের সাথে মানতির কন্টাক না করলে বা ট্রিপ নিয়ে বা কোন কারনে কোন মনোমালিন্য হলে ঐ গাড়ীটি যাত্রাবাড়ী জোনে প্রবেশ করা মাত্রই সার্জেন্ট চন্দন তা ব্যারিকেট দিয়ে থামিয়ে মামলা দেয়া সহ চালক হেলপারের সাথে খারাপ আচরন করে থাকেন। কার্গোর ড্রাইভার নুরুল ইসলাম রাজা বলেন, টিআই ও সার্জেন্টদের সাথে মানতি না করে কোন মালিক-ড্রাইভার ১ফুট রাস্তা গাড়ী চালানোর করার ক্ষমতা রাখে না। আমার মালিকের ৭টি গাড়ী আছে, এগুলো সরাসরি এক সার্জেন্টের সাথে মানতি করা, কিন্তু আইসিডির দালাল মাসুম তার আন্ডারে এই গাড়ী গুলো ২ হাজার টাকা হারে মাসিক মানতিতে চেয়ে ছিলো, আমার বস তার সাথে মানতি করে নাই, কম টাকায় এক সার্জেন্টের সাথে মানতি করেছে। এরপর থেকে দালাল মাসুমের নির্দেশে সার্জেন্ট চন্দন আমাদের গাড়ীগুলো দেখলেই থামিয়ে মামলা দিয়ে দেয়।
এব্যাপারে সার্জেন্ট চন্দন কুমার কাছে জানতে চাইলে বলেন, সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট আর মাসুম নামের কোন ব্যাক্তিকে আমি চিনিনা।