ওয়াজের মাধ্যমে ধর্মের অপব্যাখ্যা ও উগ্রবাদ ছড়ানোর অভিযোগে গ্রেপ্তার মুফতি আমির হামজার ১০ দিনের রিমান্ড চেয়েছে পুলিশ।
আজ মঙ্গলবার (২৫ মে) তাঁকে ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করা হয়। এরপর সংসদ ভবনে তলোয়ার নিয়ে হামলার পরিকল্পনায় শেরেবাংলা নগর থানায় করা মামলার সুষ্ঠুতদন্তের জন্য তাঁকে ১০ দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটের (সিটিটিসি) পরিদর্শক কাজী মিজানুর রহমান।
ঢাকা মহানগর হাকিম আতিকুল ইসলামের আদালতে আজ বেলা ৩টার দিকে এ রিমান্ড শুনানি অনুষ্ঠিত হবে।
গতকাল সোমবার দুপুরে কুষ্টিয়া সদর উপজেলার পাটিকাবাড়ি ইউনিয়নের ডাবিরাভিটা গ্রামের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করা হয় আমির হামজাকে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, মুফতি আমির হামজা ওয়াজে ইসলামের নামে বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়িয়েছেন। ইউটিউবে প্রকাশিত তাঁর বেশ কিছু বক্তব্য উগ্রবাদ ছড়াচ্ছে, যা শুনে কোমলমতি কিশোর-তরুণরা জঙ্গিবাদে আকৃষ্ট হচ্ছে। সম্প্রতি হেফাজত নেতাকর্মীদের ধরপাকড়ের কারণে আত্মগোপনে ছিলেন আমির হামজা। তাঁর বিরুদ্ধে কাউন্টার টেররিজম ইউনিটে তদন্তাধীন একটি মামলা রয়েছে। সেই মামলায় তথ্য-প্রমাণের ভিত্তিতে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ধর্মের অপব্যাখ্যা ও উগ্রবাদ ছড়ানোর বিষয়ে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।
কাউন্টার টেররিজম ইউনিট সূত্রে আরো জানা গেছে, তলোয়ার নিয়ে সংসদ ভবনে হামলা চালানোর চেষ্টায় সাকিব নামের একজনকে গত ৫ মে গ্রেপ্তার করা হয়। সাকিবকে গ্রেপ্তারের পর শেরেবাংলানগর থানায় সন্ত্রাসবিরোধী আইনে একটি মামলা হয়। ওই মামলায় সাকিবসহ আলী হাসান ও মাওলানা মাহমুদুল হাসান গুনবীকে আসামি করা হয়।
এ ছাড়া সাকিবের কাছ থেকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, সাকিবের মোবাইল ফোনে আলী হাসান উসামা, মাহমুদুল হাসান গুনবী, আমির হামজা, হারুন ইজহার প্রমুখ ব্যক্তির উগ্রবাদ সংবলিত ভিডিও পাওয়া যায়, যা দেখে সাকিব উগ্রবাদে আসক্ত হয়।