রাজধানীর বনানী থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে হওয়া  মামলায় চিত্রনায়িকা পরীমনিকে ফের পাঁচ দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।

গতকাল মঙ্গলবার (১৭ আগস্ট) ঢাকা মহানগর হাকিম দেবব্রত বিশ্বাসের আদালতে আবেদন করা হয়। এর আগে গত সোমবার পরীমনির আইনজীবী মো. মজিবুর রহমান তাঁর জামিন চেয়ে আবেদন করেন। আগামীকাল বৃহস্পতিবার উভয় বিষয়ে শুনানি অনুষ্ঠিত হবে।

গত ৪ আগস্ট পরীমনিকে তাঁর বনানীর বাসা থেকে আটক করে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)। অভিযানে নতুন মাদক এলএসডি, মদ ও আইস উদ্ধার করা হয় বলে দাবি করা হয় র‍্যাবের পক্ষ থেকে। তাঁর ড্রয়িংরুমের কাভার্ড, শোকেস, ডাইনিংরুম, বেডরুমের সাইড টেবিল ও টয়লেট থেকে বিপুল পরিমাণ মদের বোতল উদ্ধার করা হয় বলেও দাবি করা হয়। এরপর রাত ৮টা ১০ মিনিটে পরীমনিকে তাঁর বাসা থেকে র‌্যাব সদর দপ্তরে নেওয়া হয়। সেখানে রাত ১২টা পর্যন্ত তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। পরদিন ৫ আগস্ট বিকেল ৫টা ১২ মিনিটে র‌্যাব সদর দপ্তর থেকে পরীমনি, রাজ ও তাঁদের দুই সহযোগীকে নিয়ে বনানী থানায় যায় র‌্যাবের একটি দল।

এরপর র‍্যাব বাদী হয়ে রাজধানীর বনানী থানায় পরীমনি ও তাঁর সহযোগী দীপুর বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলায় দায়ের করে৷ রাত ৮টা ২৪ মিনিটে পরীমনি ও তাঁর সহযোগীকে ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করা হয়। এরপর বনানী থানার মামলায় তাঁদের সাত দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা। এ সময় আসামিপক্ষে তাঁদের আইনজীবী রিমান্ড বাতিল চেয়ে আবেদন করেন। অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষ রিমান্ডের পক্ষে শুনানি করেন। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে আদালত তাঁদের চার দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন। 

এর পর ১০ আগস্ট পরীমনি ও তাঁর সহযোগী দীপুকে আদালতে হাজির করে ফের পাঁচ দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করে মামলার তদন্ত সংস্থা সিআইডি। এ সময় আসামিপক্ষে রিমান্ড বাতিল ও জামিন চেয়ে আবেদন করা হয়। অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষ জামিনের বিরোধিতা করে। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে আদালত তাঁদের দুই দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন। 

দুই দফায় রিমান্ড শেষে গত ১৩ আগস্ট পরীমনি ও তাঁর সহযোগী আশরাফুল ইসলাম দীপুকে আদালতে হাজির করা হলে আদালত তাঁদের জামিন আবেদন খারিজ করে তাঁদেরকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।