ক্রাইম কনফারেন্সে বক্তব্য রাখছেন আইজিপি ড. বেনজীর আহমেদ। ছবি: সংগৃহীত

ফেসবুক ও ইউটিউবসহ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমগুলোর কর্তৃপক্ষকে জবাবদিহির আওতায় আনার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন পুলিশ সুপাররা (এসপি)। পুলিশ হেডকোয়টার্সে চলমান ‘ক্রাইম কনফারেন্সে’ তাঁরা এ দাবি জানান।

পুলিশের সব রেঞ্জ ডিআইজি, এসপি, কমিশনার ও উপ-কমিশনারদের উপস্থিতিতে বাংলাদেশ পুলিশের দুই দিনব্যাপী (১২-১৩ সেপ্টেম্বর) অপরাধ পর্যালোচনা সভা ‘ক্রাইম কনফারেন্স’ শুরু হয়েছে গতকাল রবিবার। এ ক্রাইম কনফারেন্সে সভাপতিত্ব করছেন পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ড. বেনজীর আহমেদ। সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত আইজিপি (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশন্স) এম খুরশীদ হোসেন।

কনফারেন্সের শুরুর দিন জানুয়ারি-মার্চ ও এপ্রিল-জুন দুই কোয়ার্টারের সার্বিক অপরাধ পরিস্থিতি, যেমন- ডকাতি, দস্যুতা, খুন, দ্রুত বিচার আইনে মামলা, নারী ও শিশু নির্যাতন মামলা, অপহরণ, সিঁধেল চুরি, দাঙ্গা, মাদক, অস্ত্র ও গাড়ি উদ্ধার ইত্যাদির তথ্য তুলে ধরা হয়। এসব তথ্য তুলে ধরেন ডিআইজি (ক্রাইম ম্যানেজমেন্ট) এ ওয়াই এম বেলালুর রহমান।

পুলিশ সুপাররা তাদের বক্তব্যে এসব অপরাধ দমনে ফেসবুক ও ইউটিউবসহ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমগুলোর কর্তৃপক্ষকে জবাবদিহির আওতায় আনার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার কথা বলেনে।

সভায় উপস্থিত থাকা নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন পুলিশ সুপার জানান, সম্প্রতি দেশে ও দেশের বাইরে থেকে একটি মহল বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে টার্গেট করে নানামুখী অপতৎপরতা শুরু করেছে। এ বিষয়ে তথ্যপ্রযুক্তি আইনে মামলা করলেও এসব অপরাধ নিয়ন্ত্রণ করা যায় না। কারণ এই দুর্বৃত্তরা দেশের বাইরে অবস্থান করে দেশ ও সরকার, বিচার বিভাগ, রাষ্ট্রীয় বিভিন্ন বাহিনী ও গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে বিষোদগার করছে। তাদের এসব অপতৎপরতা রোধে ফেসবুক, টুইটার ও ইউটিউবসহ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমগুলোকে জবাবদিহির আওতায় আনার পরামর্শ দেন তারা।

অপর একজন এসপি জানান, প্রযুক্তির অপব্যবহারের কারণে দেশে কিশোর অপরাধ মারাত্মকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। অনেক ক্ষেত্রে পূর্বে ধারণা না থাকায় এসব কিশোর অপরাধীদের নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হয় না। এ বিষয়ে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে নির্দেশনা চান পুলিশ সুপাররা। পুলিশ সদর দপ্তর থেকে এ বিষয়ে পুলিশের সব ক্রাইম ইউনিটে একটি নির্দেশনা দেওয়া হয়।