বিশেষ প্রতিনিধি:
প্রেমিকার আত্নহত্যার প্রতিশোধ নিতে খুন হয়েছেন আলআমিন(২৫) নামের এক যুবক। গত (০৩ সেপ্টেম্বর) ফেনী পৌরসভার পশ্চিম বিজয়সিংহ লুদ্দারপাড় গ্রামের ফরিদ মিয়ার টিনসেট কলোনিতে নির্মম হত্যাকান্ডের ঘটনাটি ঘটে। হত্যায় সম্পৃক্ত তিন আসামির মধ্য ডায়মন্ডকে (২৮) গ্রেফতার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ( সিআইডি)।
বুধবার সিআইডির সদর দপ্তরে সংবাদ সম্মেলনে বিস্তারিত জানান সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার মুক্তা ধর পিপিএম, এসময় উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার খায়রুল আমিন, বিশেষ পুলিশ সুপার মিডিয়া আজাদ রহমান।
মুক্তা ধর বলেন, আল আমিন তার বড় ভাই তোফাজ্জল হোসেন ও আসামী মোঃ ডায়মন্ড (২৮) হাজী ফরিদ মিয়ার কলোনির একটি কক্ষে ভাড়া থাকতো। তারা তিনজনই ফেনী শহর ও জেলার বিভিন্ন এলাকায় হরেক রকমের জিনিসপত্র বিক্রি করতো। জানা যায় যে, আসামী ডায়মন্ডের সাথে তার গ্রামের কুমারী পপি মন্ডল (১৫) এর প্রেমের সম্পর্ক ছিল।
পরবর্তীতে তাদের ঐ সম্পর্ক ভেঙে যায়। এর কিছুদিন পর গত (১৬ জুন) পপি মন্ডল (১৫) বিষ পান করে আত্মহত্যা করে। পরবর্তীতে নেশাগ্রস্থ হয়ে আল আমিন স্বীকার করে যে, সে ইচ্ছা করে সুকৌশলে ডায়মন্ডের ফোন ব্যবহার করে পপি মন্ডলকে বলে, ডায়মন্ড তাকে ভালবাসে না। যার পরিপ্রেক্ষিতেই পপি আত্মহত্যা করেছে। আল আমিন আরও জানায় যে, রুবেল মন্ডল(২২) হাসিবুর রহমান (২৩), আবু বক্কর (২৩) মিলে কিছুদিন আগে রাতের বেলায় পপির রুমে ঢুকে পপিকে যৌন নিপীড়ন করে।
সিআইডির এ কর্মকর্তা বলেন, উক্ত ঘটনা জানার পরে ডায়মন্ড আল আমিনকে হত্যার পরিকল্পনা করে এবং গত (০৩ সেপ্টেম্বর) বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে ছুরি নিয়ে আল আমিনের ওপর হামলা করে এবং তার বুকে উপর্যুপরি ছুরিকাঘাত করে।
এ সময় আল আমিনকে বাঁচাতে এগিয়ে এলে আল-আমিনের বড় ভাই তোফাজ্জলকেও আসামী ডায়মন্ড ছুরিকাঘাত করে। তাদের চিৎকারে কলোনির অন্যান্য বাসিন্দারা এগিয়ে এলে ডায়মন্ড দৌড়ে পালিয়ে যায়। ভিকটিম আল আমিন(২৫) নওগাঁর মান্দা উপজেলার রাজেন্দ্রবাটী গ্রামের নুর ইসলামের ছেলে।