শেষ ওভারে চেন্নাই সুপার কিংসের জয়ের জন্য দরকার ছিল ১৩ রান। প্রথম বলেই গেল মঈনের উইকেট। ওই শেষ। আর কোনো বিপদ মাথা তুলতে পারেনি। উইকেটে যে ছিলেন মহেন্দ্র সিং ধোনি। পরের তিন বলে টানা তিন চার মেরে খেলা শেষ করে দেন ভারতের সাবেক অধিনায়ক। দিল্লিকে হারিয়ে ফাইনালের টিকেট পেয়ে যায় চেন্নাই।
ঋতুরাজ গায়কোয়াড় ও মঈন আলীর দুর্দান্ত ইনিংসের পর ধোনির ঠাণ্ডা মাথার ফিনিশিংয়ে জয় পেয়েছে ধোনির চেন্নাই। ৪ উইকেটের জয়ে তারা উঠে গেছে আইপিএলের ফাইনালে।
রবিবার দুবাইয়ে টস জিতে আগে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় চেন্নাই। তাদের ঝড়ো শুরু এনে দেন ইনিংস উদ্বোধনে নামা পৃথ্বী শ। আরেক ওপেনার শিখর ধাওয়ান ৭ বলে ৭ রান করে সাজঘরে ফেরত যান। কিন্তু ৭ চার ও ৩ ছক্কায় ৩৪ বলে ৬০ রানের ইনিংস খেলেন শ। রবীন্দ্র জাদেজার বলে ফাফ ডু প্লেসিসের হাতে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফেরেন তিনি।
এর মধ্যে ৮ বলে ১ রান করে শ্রেয়াস আয়ার ও ১১ বলে ১০ রান করে অক্ষর প্যাটেল আউট হলে বেশ বিপদে পড়ে দিল্লি। তবে ৮৩ রানের জুটি গড়ে দলের হাল ধরেন ঋষভ পান্ত ও শিমরন হেটমায়ার।
২৪ বলে ৩৭ রান করে হেটমায়ারের ফিরলেও ৩৫ বলে ৫১ রান করে শেষ পর্যন্ত অপরাজিত ছিলেন পান্ত। ৫ উইকেট হারিয়ে ১৭২ রানে থামে দিল্লির ইনিংস। চেন্নাইয়ের পক্ষে ৪ ওভার বল করে ২৯ রান দিয়ে দুই উইকেট নেন জশ হ্যাজলউড।
দিল্লিকে জবাব দিতে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি চেন্নাইয়েরও। প্রথম ওভারে চতুর্থ বলেই আউট হয়ে যান ডু প্লেসিস। এরপর ব্যাটিংয়ে নেমে রীতিমতো ঝড় তুলেন রবিন উথাপ্পা। ৭ চার ও ২ ছক্কায় ৪৪ বলে ৬৩ রান করেন তিনি। আরেক প্রান্ত আগলে রাখেন ঋতুরাজ গায়কোয়াড়। ৫০ বলে করেন ৭০ রান।
তবে ১৯ তম ওভারে তিনি আউট হলে পরাজয়ের শঙ্কা ভর করে চেন্নাই শিবিরে। কিন্তু সেখানেই নিজের পুরোনো ভেল্কি দেখান ধোনি। ৩ চার ও ১ ছক্কায় ৬ বলে তার ১৮ রানের ক্যামিওতে দুই বল আগেই জয় পায় চেন্নাই।