আওয়ামী লীগ থেকে বহিষ্কারের পর প্রধানমন্ত্রীর কাছে ক্ষমা চাইলেন গাজীপুরের মেয়র জাহাঙ্গীর আলম। দলের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে রিভিউ আবেদন করার সুযোগ চান তিনি। সকালে গাজীপুরে নিজ বাসভবনে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

এদিকে, প্রধানমন্ত্রীর সিদ্ধান্তকে যুগান্তকারী উল্লেখ করে আনন্দ মিছিল করেছেন জাহাঙ্গীর বিরোধীরা।

সেপ্টেম্বরে জাহাঙ্গীর আলমের একটি ঘরোয়া বৈঠকের গোপন ভিডিও ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে। যাতে বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করতে দেখা যায় তাকে। এর দায়ে প্রথমে শোকজ নোটিস এবং শেষমেষ আওয়ামী লীগ থেকে জাহাঙ্গীর আলমকে বহিষ্কার করা হয়।

সংবাদ সম্মেলন এই সিদ্ধান্তের প্রতিক্রিয়া জানান গাজীপুর সিটি মেয়র। নিজেকে ষড়যন্ত্রের শিকার বলে দাবি করেন তিনি। প্রধানমন্ত্রীর কাছে ক্ষমা চান জাহাঙ্গীর আলম।

উন্নয়ন কর্মকাণ্ড অব্যাহত রাখতে তাকে মেয়র পদে রাখার দাবি জানান জাহাঙ্গীর সমর্থকরা।

এদিকে, বহিষ্কার আদেশের পরপরই উল্লাস করে বিরোধীরা। তাদের অভিযোগ, গাজীপুরে আওয়ামী লীগে সংকটও তৈরি করেছেন জাহাঙ্গীর আলম।

এর আগে শুক্রবার আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সভায় জাহাঙ্গীর আলমের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার সুপারিশ করা হয়েছে।