ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান আলেশা মার্টের কাছে পাওনা টাকার দাবিতে তাদের অফিসে অবস্থান নিয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল শিক্ষার্থী। এ সময় পাওনা টাকা ফেরত না দিয়ে প্রতিষ্ঠানটির কর্মকর্তা-কর্মচারীদের তোপের মুখে পড়েন অবস্থানরত শিক্ষার্থীরা। ধাক্কাধাক্কির ঘটনাও ঘটেছে বলে জানা যায়।
আজ বুধবার (২৪ নভেম্বর) দিনভর বনানী আলেশা মার্টের অফিসে এই ঘটনা ঘটেছে।
ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীদের দাবি, আলেশা মার্টের চেয়ারম্যান মঞ্জুরুল আলম শিকদারের দেওয়া কথা অনুযায়ী বনানী হেড অফিসে টাকা ফেরত নিতে যান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা৷ তবে সকাল থেকে বিভিন্ন কথা বলে তাদের ঘুরাতে থাকে আলেশামার্ট কর্তৃপক্ষ। এক পর্যায়ে টাকা না দেওয়ায় উপস্থিত শিক্ষার্থীরা স্লোগান দিলে তাদেরকে ধাক্কা দেন ওই প্রতিষ্ঠানের নিরাপত্তাকর্মীরা৷ রাত সাড়ে নয়টায় শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ওই অফিসেই অবস্থান করছেন শিক্ষার্থীরা।
ঢাবি শিক্ষার্থী রিদওয়ান উল্লাহ জানান, আলেশা মার্ট প্রোডাক্ট ডেলিভারি দেওয়ার কথা বলে গত ছয় মাস ধরে ঘুরাচ্ছে। অর্ডারকৃত টাকা ফেরত চাইলেও তারা ফেরত দিচ্ছে না। কয়েকবার অফিসে এসেও সমাধান পাইনি। এরপর চেয়ারম্যান নিজে আমাদেরকে কথা দিয়েছেন আজকে (বুধবার) টাকা দিবেন। কিন্তু উনি সারাদিন ঘুরিয়ে টাকা না দিয়েই অফিস ত্যাগ করেন। তাই আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি আমাদের প্রত্যেকের পাওনা টাকা না পাওয়া পর্যন্ত ওদের অফিস ত্যাগ করবো না।
এ বিষয়ে আলেশা মার্টের চেয়ারম্যান মঞ্জুরুল আলম শিকদারকে ফোন দিলে তা বন্ধ পাওয়া যায়।
জরুরী ঘোষণা দিয়ে “আলেশা মার্ট” বন্ধ ঘোষণা