উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগের গ্রুপ পর্বে নিজেদের পঞ্চম ম্যাচে বুধবার রাতে শক্তিশালী পিএসজিকে ২-১ গোলের ব্যবধানে হারিয়ে এক ম্যাচ বাকি থাকতেই গ্রুপ সেরা হয়ে পরের রাউন্ড নিশ্চিত করেছে ম্যানচেস্টার সিটি। এদিন দলের হয়ে একটি করে গোল করেন রাহিম স্টার্লিং এবং গ্যাব্রিয়েল জেসুস। অন্যদিকে পিএসজির একমাত্র গোলটি কিলিয়ান এমবাপ্পের।
পয়েন্ট টেবিলের দুই নম্বরে থাকা পিএসজির এখনো একটি ম্যাচ বাকি থাকা সত্ত্বেও গ্রুপসেরা হয়েছে ইংলিশ ক্লাবটি। কেন না দুই থাকা ফরাসি ক্লাবটি ম্যান সিটি থেকে ৪ পয়েন্টে পেছানো। ৫ ম্যাচ খেলা পিএসজির সংগ্রহ ৮ পয়েন্ট। অন্যদিকে সমান সংখ্যক ম্যাচে সর্বোচ্চ ১২ পয়েন্ট পেপ গার্দিওলার শিষ্যদের।
ঘরের মাঠে খেলা হলেও বল দখলে পিএসজির সমানে সমান ছিল ম্যান সিটি। তবে স্বাগতিক সুবিধা পাওয়ায় আক্রমণে মেসি-নেইমারদের চেয়ে ঢের এগিয়ে ছিল সিটি। কিন্তু এরপরও পাচ্ছিল না কাঙ্ক্ষিত গোলের দেখা। ফলে প্রথমার্ধের খেলা শেষ হয় শূন্যতেই।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে অনেকটা গোছালো ফুটবল খেলতে থাকে সফরকারীরা। এরই সুবাদে ৫০তম মিনিটের মাথায় গোল পেয়ে যায় পিএসজি। ডি-বক্সের বাইরে আন্দের এররেরার সঙ্গে ওয়ান-টু-ওয়ান খেলে ভেতরে ঢুকে ডান দিকে পাস দিলেন মেসি। প্রতিপক্ষের এক জনের পা ছুঁয়ে বল চলে গেল অরক্ষিত এমবাপ্পের পায়ে। ঠাণ্ডা মাথায় সময় নিয়ে কাছের পোস্ট দিয়ে গোলটি করলেন ফরাসি ফরোয়ার্ড।
তবে বেশিক্ষণ লিড নিয়ে থাকতে পারেনি জাভির শিষ্যরা। ম্যাচের ৬৩তম মিনিটে বাঁ থেকে সতীর্থের বাড়ানো ক্রসে বাইলাইনের কাছ থেকে লাফিয়ে নেওয়া ভলিতে গোলমুখে বল বাড়ান কাইল ওয়াকার। গাব্রিয়েল জেসুস পারেননি টোকা দিতে, তবে পেছনে দাঁড়ানো স্টার্লিং আলতো শটে খুঁজে নেন ঠিকানা।
এরপর চাপ ধরে রেখে ম্যাচের ৭৬তম মিনিটে জেসুসের গোলে এগিয়ে যায় স্বাগতিকরা। জেসুসের শট কর্নারের বিনিময়ে ঠেকান নাভাস। খানিক পর দারুণ একটি গোল হতে পারত নেইমারের। আনহেল ডি মারিয়ার সঙ্গে বল দেওয়া নেওয়া করে ডি-বক্সে ঢুকে দুজন ডিফেন্ডারের মধ্যে দিয়ে আরও সামনে এগিয়ে ওয়ান-অন-ওয়ানে লক্ষ্যভ্রষ্ট শট নেন ব্রাজিলিয়ান তারকা।
শেষ দিকে পিএসজি কিছুটা চাপ বাড়ানোর চেষ্টা করলেও উল্লেখযোগ্য তেমন কিছুই করতে পারেনি তারা। মেসি-নেইমার-এমবাপেয় গড়া সময়ের সেরা আক্রমণভাগ বিচ্ছিন্ন কিছু মুহূর্ত বাদে নিজেদের নামের প্রতি সুবিচার করতে পারেনি মোটেও।