মোঃ হাবিবুর রহমান
মা ইলিশ রক্ষায় টানা ২২ দিনের সরকারি নিষেধাজ্ঞা শেষে আবারও সাগর ও নদীতে ইলিশ ধরতে ছুটেছেন জেলেরা। শুক্রবার মধ্যরাত থেকে নিষেধাজ্ঞা উঠে যাবার পর নদীতে মাছ ধরতে ব্যস্ত জেলেরা। জালেও ধরা পড়ছে প্রচুর ইলিশ। এতে করে কর্মচাঞ্চল্য ফিরেছে জেলে পল্লীতে।
অক্টোবরে দুটি অমাবস্যা-পূর্ণিমাকে কেন্দ্র করে মা ইলিশ ধরা বন্ধে ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়। ৭ অক্টোবর থেকে ২৮ অক্টোবর পর্যন্ত বহাল ছিল নিষেধাজ্ঞা
মাছ ধরার নিষেধাজ্ঞা শেষ হওয়ার পর কর্মচাঞ্চল্য ফিরেছে ঝালকাঠির সুগন্ধা ও বিষখালী পাড়ের জেলে পল্লীতে। তবে, দীর্ঘদিন বেকার থাকার পরেও বরফ সংকটে ট্রলার নিয়ে নদী ও সমুদ্রে যেতে পারেননি অনেক জেলে।
নিষেধাজ্ঞার সময়ে সব ধরনের মাছ ধরা বন্ধ থাকায় পরিবারে অভাব অনটন দেখা দেয়। পর্যাপ্ত মাছ ধরা পড়লে ক্ষতি পুষিয়ে নিতে পারবেন জেলে ও মাছ ব্যবসায়ীরা।
জেলে হারুন শেখ বলেন, ‘অবরোধ শুরুর পর থেকে এই দিনের অপেক্ষায় ছিলাম। স্ত্রী-সন্তান, পরিবার-পরিজনের কাছ থেকে বিদায় নিয়ে আসছি। রাতেই রওনা হব সমুদ্রে।
লক্ষ্মীপুরের জেলেদের দাবি, মাছের আকার বড় হওয়ার পাশাপাশি দামও ক্রেতার নাগালের ভিতরে।
অভিযান সফল হওয়ায় প্রচুর ইলিশ ধরা পড়ছে বলে দাবি মৎস্য কর্মকর্তাদের।
একই চিত্র চট্টগ্রামেও। সাগর থেকে বিপুল পরিমাণ ইলিশ নিয়ে ফেরার আশা জেলেদের।
এদিকে, বরফ সংকট থাকায় ট্রলার নিয়ে সমুদ্রের যেতে পারেননি বরগুনার অনেকেই। এছাড়া বরফের অভাবে মাছ বাজারজাত করতে সমস্যায় পড়ছেন ভোলার ব্যবসায়ীরা।
এদিকে শুধু ইলিশ শিকারি জেলে নন, শনিবার দিবাগত রাতে বাগেরহাট থেকে বিভিন্ন এলাকার ৫ হাজারের বেশি জেলে শুঁটকি আহরণে রওনা দেবেন। সুন্দরবনের দুবলার চর, মাঝের কিল্লা, মেহের আলীর চর, নারকেল বাড়িয়া ও শেলার চরে প্রায় ছয় মাস অবস্থান করে শুঁটকি আহরণ করবেন এসব জেলে। নিষেধাজ্ঞার ফলে ইলিশের সঙ্গে সঙ্গে অন্যান্য মাছও বেশি করে পাওয়া যাবে বলে আশা সমুদ্রগামী জেলেদের।