এন এ মুরাদ, (মুরাদনগর) কুমিল্লা।


মুরাদনগর উপজেলার রামপুর দক্ষিণ সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের  ভবন না থাকায় খোলা আকাশ আর  হিন্দুদের একটি সাধনালয়ে চলছে পাঠদান। ভবনটি পরিত্যাক্ত ঘোষণার ৯ বছর পেরিয়ে গেলেও নতুন ভবন পায়নি শিক্ষার্থীরা। তাই অর্ধেক শিক্ষার্থী স্কুল ছেড়ে অন্যত্র চলে গেছেন। 

স্কুল সূত্রে জানা যায়, ১৯৪০ সাল প্রতিষ্ঠিত হয় মুরাদনগর উপজেলার রামপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়।
স্কুলটি ১২ বছরের  বেশি সময় বয়সের ভারে জরাজীর্ণ।। উপর থেকে খসে পড়ছে ছাদের পলেস্তারা। বৃষ্টি এলে স্কুলের ভীতর জমে  পানি। বিদ্যালয়টির অনেক কক্ষের দরজা- জানালা নাই। এমতাবস্হায়  ভবনটিকে পরিত্যাক্ত ঘোষনা করেন সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষ।
স্কুলটি পরিত্যাক্ত ঘোষণার ৯ বছর পেরিয়ে গেলেও এখন পর্যন্ত নতুন কোন ভবন পায়নি শিক্ষার্থীরা। তাই খোলা আকাশ আর পাশের বৈষ্ণব আখড়ায় চলে তাঁদের পাঠদান।
কচিকাঁচা শিক্ষার্থীরা বলেন,  আমাদের নতুন একটি স্কুল চাই। এখানে ক্লাস করতে আমাদের অনেক কষ্ট হয়।

স্কুলের প্রধান শিক্ষক সুমিত্রা পাল বলেন, ২০১৩ সালে স্কুলটি পরিত্যাক্ত ঘোষণা করা হয়েছে। ভবন সংকটে স্কুলের শিক্ষার্থীরা অন্যত্র চলে যাচ্ছেন। ৪’শ থেকে কমতে কমতে এখন মাত্র ১৮০ জন ছাত্র-ছাত্রী আছে। প্রচন্ড গরমে টিনের ঘরে ক্লাস করতে কষ্ট হয়। আবার বাহিরে বসে পাঠদান বৃষ্টি এলে ব্যহত হয়। ভবন সংকটে স্কুলের ছাত্রী-ছাত্রীরা অন্যদিকে চলে যাচ্ছে। 
মুরাদনগর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ফৌজিয়া আক্তার বলেন, আমরা মা সমাবেশ আর অভিভাবকদের সাথে কথা বলে শিক্ষার্থীদের  ফিরিয়ে আনতে চেষ্টা করছি। ভবন পেতে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা অধিদপ্তরে আবেদন করা হয়েছে।
মুরাদনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার আলাউদ্দিন ভূইয়া জনী বলেন, স্কুলের শিক্ষার্থী কমতে কমতে অর্ধেক হয়ে গেছে। এখানে একটি ভবন জরুরি হয়ে পড়ছে। তাই  নতুন ভবন বরাদ্ধ পেতে সকল প্রকার সহযোগীতা করা হবে।##