জয়ের জন্য সাকিবের দল বার্বাডোজ ট্রাইডেন্টসের শেষ বলে প্রয়োজন ছিল দুই রান। বাঁহাতি পেসার ড্রেকসের বল ব্যাটে লাগাতে ব্যর্থ গুরনে। বোল্ড হয়ে ফিরলেন সাজঘরে। ১৪৯ রানের পুঁজি নিয়ে বার্বাডোজকে এক রানে হারাল সেন্ট লুসিয়া।
দল হারলেও ব্যাট ও বল হাতে উজ্জ্বল পারফরম্যান্স করেছেন সাকিব। মিতব্যয়ী বোলিংয়ের পর আগ্রাসী ব্যাটিংয়ে দলকে জয়ের পথে নিয়ে গিয়েছিলেন সাকিবই। কিন্তু হঠাৎ ছন্দপতনে বার্বাডোজ জয়ের পথ থেকে ছিটকে যায়। শেষ দিকে লড়াইয়ে ফিরলেও এক রানের আক্ষেপে পুড়তে হয় সাকিবদের। আগে ব্যাটিং করে সেন্ট লুসিয়া সাত উইকেটে ১৪৯ রান করে। জবাবে শেষ বলে সবকটি উইকেট হারিয়ে ১৪৮ রানে আটকে যায় বার্বাডোজ।
বোলিংয়ে শুরুতেই আক্রমণে সাকিব। প্রথম ওভার মেডেন। মোহাম্মদ হাফিজ কোনো রানই নিতে পারেননি সাকিবের ঘূর্ণিতে। তৃতীয় ওভারে খরচ করেন মাত্র চার রান। পাওয়ার প্লে’র দুই ওভারে সাকিবের ব্যয় মাত্র চার রান। নবম ওভারে ফিরে ধারাবাহিক বোলিংয়ে রানের চাকা আটকে রাখেন বাংলাদেশের অধিনায়ক। ১৭তম ওভারে পেয়ে যান সাফল্য। ওভারের প্রথম বলে তার শিকার সেন্ট লুসিয়ার অধিনায়ক কার্লোস ব্রাফেট। আর্ম বলে পরাস্ত হয়ে এলবিডব্লিউ হন ব্রাফেট। চার ওভার শেষে সাকিবের বোলিং স্পেল ছিল এরকম ৪-১-১৪-১।
লক্ষ্য তাড়ায় তৃতীয় ওভারে ব্যাটিংয়ে আসেন সাকিব। হাফিজকে পরপর দুই বলে চার-ছক্কা মেরে দারুণ শুরু করেন। এক ওভার পর ব্রাফেটের বল পয়েন্ট দিয়ে পাঠান বাউন্ডারির বাইরে। ২২ গজে ধারাবাহিক ব্যাটিং করে যান। শুরুর আগ্রাসন ধরে রাখেন ইনিংসের মাঝপথে। দ্বিতীয় উইকেটে অ্যালেক্স হেলসকে নিয়ে গড়েন ৪১ রানের জুটি। হেলস ১৯ রানে ফেরার পর ডুমিনিকে নিয়ে আবার দলের হাল ধরেন।
দুই বাঁহাতির ব্যাটে বার্বাডোজ এগিয়ে যাচ্ছিল জয়ের পথে। ম্যাচ যখন হাতের মুঠোয় তখন এক ভুল শটে শেষ হয় সাকিবের দুর্দান্ত ইনিংস। ব্রাফেটকে এগিয়ে এসে মারতে গিয়ে লং অনে ক্যাচ দেন । ২৫ বলে তিন চার ও এক ছক্কায় সাজানো ৩৮ রানের ইনিংসটি শেষ হয় সেখানে। এরপর দ্রুত চার উইকেট হারায় বার্বাডোজ। রেয়মন রেইফার তিন ছক্কায় ১৮ বলে ৩৮ রান তুলে ম্যাচ শেষ ওভারে টেনে নেন। কিন্তু শেষটা রাঙাতে পারেননি।
সেন্ট লুসিয়া এ জয়ে প্লে অফ নিশ্চিত করেছে। বার্বাডোজের এখনও শেষ চারে যাওয়ার সুযোগ আছে। আট ম্যাচে তিন জয়ের বিপরীতে তাদের পরাজয় পাঁচটিতে।