ভারতে পাচারকালে বেনাপোল ও পুটখালি সীমান্তে পৃথক অভিযান চালিয়ে ৩ কোটি ৬ লাখ ৮৪ হাজার টাকা মূল্যের ৬৯ পিস সোনার বার (৬ কেজি ২০০ গ্রাম) ও ১২ হাজার মার্কিন ডলারসহ ৪ পাচারকারীকে আটক করেছে বিজিবি সদস্যরা।
আজ বৃহস্পতিবার সকালে বেনাপোলের আমড়াখালি, সাদিপুর ও পুটখালি সীমান্তে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়।
৪৯ বিজিবির কমান্ডিং অফিসার লে. কর্নেল সেলিম রেজা জানান, বিপুল পরিমাণ সোনা পাচার হয়ে ভারতে যাচ্ছে এমন ধরনের গোপন সংবাদ পেয়ে বিজিবির দুটি টহল দল বৃহস্পতিবার সকাল ৯ টায় সাদিপুর সীমান্ত থেকে ৪৯টি সোনার বার (৩ কেজি ৮৫০ গ্রাম) সহ মোমিন চৌধুরী (৫৫) নামে এক সোনা চোরাকারবারীকে আটক করা হয়। আটক মোমিনউদ্দিন বেনাপোলের সাদিপুর গ্রামের হাসু চৌধুরীর ছেলে।
বিজিবির আরেকটি দল আমড়াখালি এলাকায় অভিযান চালিয়ে ২০টি সোনার বারসহ (২ কেজি ৩৩৫ কেজি) নুরুল ইসলামকে আটক করে। আটক নুরুল ইসলাম স্থানীয় পোড়াবাড়ি গ্রামের আকবর আলীর ছেলে। সোনার বারগুলো আসামীর পায়ের সাথে বিশেষ ব্যবস্থায় বাধা ছিল।
অপরদিকে পুটখালি সীমান্ত থেকে ১২ হাজার মার্কিন ডলারসহ মহিউদ্দিনের ছেলে রফিকুল ইসলাম(৩৫) ও শহীদুজ্জামানের ছেলে আ: রাজ্জাক (৪০) কে আটক করা হয়। উভয়ের বাড়ি বেনাপোলের পুটখালি গ্রামে।
আটক সোনার মূল্য ৩ কোটি ৬ লাখ ৮৪ হাজার টাকা বলে বিজিবি জানান। আটককৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ শেষে বেনাপোল পোর্ট থানায় সোপর্দ করা হয়েছে। এ ঘটনায় মামলা হয়েছে বেনাপোল পোর্ট থানায়।
এর আগে ২০১৪ সালের ২ জানুয়ারি বেনাপোলের কাগজপুকুর মোড় থেকে ৫১ পিস সোনার বারসহ এই মোমিনকে আটক করে পোর্ট থানা পুলিশের তৎকালিন এএসআই রফিকুল ইসলাম রফিক। থানায় আনার পর ৫১ পিস হয়ে যায় ৩৬ পিসে। বাকী ১৫ পিস সোনা নিয়ে থানা থেকে পালিয়ে যায় পুলিশের এএসআই রফিক। পরে জানা যায়, তৎকালিন ওসি কাইয়ুম ও রফিক সোনার বারগুলো ভাগাভাগি করে নিয়েছিল। এ ঘটনায় এএসআই রফিক ও ওসি কাইয়ুমকে পুলিশ লাইনে ক্লোজড করে বিভাগীয় মামলা করা হয়। তারপরও তারা এখন বহাল তবিয়তে চাকরি করে যাচ্ছেন।