জমকালো আয়োজনের মধ্য দিয়ে আগামী ৮ ডিসেম্বর জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার ২০১৭ ও ২০১৮’র পদক প্রদান অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তথ্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে এমনটাই জানানো হয়।
আজ সোমবার বিকেলে মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসান জানান, আগামী ৮ ডিসেম্বর জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার প্রদান করা হবে। পদক তুলে দেবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি ৮ ডিসেম্বর সময় দিয়েছেন।
জানা গেছে, এবারও বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে পদক তুলে দেওয়া হবে। এবার গত দুই বছরের ২৮টি শাখায় ৬৪ জনকে পুরস্কৃত করা হচ্ছে।
এর আগে, গত ৭ নভেম্বর জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার ২০১৭-২০১৮ প্রদানের এ ঘোষণা দেওয়া হয়। এবার দুই বছরের সেরা ছবি হয়েছে ‘ঢাকা অ্যাটাক’ ও ‘পুত্র’। আর সেরা অভিনেতার পুরস্কার পাচ্ছেন শাকিব খান, আরিফিন শুভ, ফেরদৌস ও সাইমন। অন্যদিকে সেরা অভিনেত্রী হলেন জয়া আহসান ও নুসরাত ইমরোজ তিশা।
২০১৭ সালের যৌথভাবে আজীবন সম্মননা পুরস্কার পাচ্ছেন বরেণ্য অভিনেতা এটিএম শামসুজ্জামান ও অভিনেত্রী সালমা বেগম সুজাতা। একইভাবে ২০১৮’র আজীবন সম্মননা পাচ্ছেন চিত্রনায়ক আলমগীর ও বরেণ্য অভিনেতা প্রবীর মিত্র।
২০১৭ সালের সেরা পরিচালকের পুরস্কার পাচ্ছেন ‘গহীন বালুচর’-এর পরিচালক বদরুল আনাম সৌদ আর ২০১৮ সালের সেরা পরিচালক হলেন ‘জান্নাত’ ছবির পরিচালক মোস্তাফিজুর রহমান মানিক।
এছাড়াও ২০১৭ সালের ছবি ‘সত্তা’র ‘তোমার প্রেমে অন্ধ আমি’ গানটির জন্য সেরা গায়ক হয়েছেন উপমহাদেশের নন্দিত ব্যান্ড তারকা মাহফুজ আনাম জেমস। একই ছবির ‘না জানি কোন অপরাধে’ গানের জন্য শ্রেষ্ঠ গায়িকার পুরস্কার পাচ্ছেন মমতাজ। আর ২০১৮ সালের ‘পুত্র’ ছবির ‘যদি দুঃখ ছুঁয়ে’ গানের জন্য সেরা গায়ক হয়েছেন নাইমুল ইসলাম রাতুল। যৌথভাবে সেরা গায়িকার পুরস্কার পাচ্ছেন ‘পুত্র’ ছবির ‘ভুলে মান অভিমান’ গানের জন্য সাবিনা ইয়াসমিন ও ‘একটি সিনেমার গল্প’ ছবির ‘গল্প কথার ঐ’ গানের জন্য আঁখি আলমগীর।
এক নজরে দেখে নেওয়া যাক দুই বছরের জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারের তালিকা
২০১৭ সালের জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারের তালিকা
আজীবন সম্মাননা: এটিএম শামসুজ্জামান ও সালমা বেগম সুজাতা
শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র: ঢাকা অ্যাটাক (কায়সার আহিমেদ ও সানী সানোয়ার)
শ্রেষ্ঠ প্রামাণ্য চলচ্চিত্র: বিশ্ব আঙিনায় অমর একুশে (বাংলাদেশ টেলিভিশন)
শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র পরিচালক: বদরুল আনাম সৌদ (গহীন বালুচর)
শ্রেষ্ঠ অভিনেতা প্রধান চরিত্র: শাকিব খান (সত্তা) ও আরিফিন শুভ (ঢাকা অ্যাটাক)
শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী প্রধান চরিত্র: নুসরাত ইমরোজ তিশা (হালদা)
শ্রেষ্ঠ অভিনেতা পার্শ্ব চরিত্র: মো. শাহদাৎ হোসেন (গহীন বালুচর)
শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী পার্শ্ব চরিত্র: সুবর্ণা মুস্তাফা (গহীন বালুচর) ও রুনা খান (হালদা)
শ্রেষ্ঠ অভিনেতা খল চরিত্র: জাহিদ হাসান (হালদা)
শ্রেষ্ঠ অভিনেতা কৌতুক চরিত্র: এম ফজলুর রহমান বাবু (গহীন বালুচর)
শ্রেষ্ঠ শিশুশিল্পী: নাইমুর রহমান আপন (ছিটকিনি)
শিশুশিল্পী শাখায় বিশেষ পুরস্কার: অনন্য সামায়েল (আঁখি ও তার বন্ধুরা)
শ্রেষ্ঠ সংগীত পরিচালক: এম ফরিদ আহমেদ হাজরা (ফরিদ আহমেদ (তুমি রবে নীরবে)
শ্রেষ্ঠ নৃত্য পরিচালক: ইভান শাহরিয়ার সোহাগ, (ধ্যাততেরিকি)
শ্রেষ্ঠ গায়ক: মাহফুজ আনাম জেমস (তোর প্রেমেতে অন্ধ…, চলচ্চিত্র: সত্তা)
শ্রেষ্ঠ গায়িকা: মমতাজ বেগম (গান: না জানি কোন অপরাধে…, চলচ্চিত্র: সত্তা)
শ্রেষ্ঠ গীতিকার: সেজুল হোসেন (গান: না জানি কোন অপরাধে…, চলচ্চিত্র: সত্তা)
শ্রেষ্ঠ সুরকার: শুভাশীষ মজুমদার বাপ্পা (গান: না জানি কোন অপরাধে…, চলচ্চিত্র: সত্তা)
শ্রেষ্ঠ কাহিনিকার: আজাদ বুলবুল (হালদা)
শ্রেষ্ঠ চিত্রনাট্যকার: তৌকির আহমেদ (হালদা)
শ্রেষ্ঠ সংলাপ রচয়িতা: বদরুল আনাম সৌদ (গহীন বালুচর)
শ্রেষ্ঠ সম্পাদক: মো. কালাম (ঢাকা অ্যাটাক)
শ্রেষ্ঠ শিল্প নির্দেশক: উত্তম কুমার গুহ (গহীন বালুচর)
শ্রেষ্ঠ চিত্রগ্রাহক: কমল চন্দ্র দাস (গহীন বালুচর)
শ্রেষ্ঠ শব্দগ্রাহক: রিপন নাথ (ঢাকা অ্যাটাক)
শ্রেষ্ঠ পোশাক ও সাজসজ্জা: রিটা হোসেন (তুমি রবে নীরবে)
শ্রেষ্ঠ মেকআপ আর্টিস্ট: মো. জাভেদ মিয়া (ঢাকা অ্যাটাক)
২০১৮ সালের জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারের তালিকা
আজীবন সম্মাননা: অভিনেতা প্রবীর মিত্র ও এম এ আলমগীর
শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র: পুত্র (চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদপ্তর)
শ্রেষ্ঠ স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র: গল্প সংক্ষেপ (বাংলাদেশ চলচ্চিত্র ও টেলিভিশন ইনস্টিটিউট)
শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র পরিচালক: মোস্তাফিজুর রহমান মানিক
শ্রেষ্ঠ অভিনেতা প্রধান চরিত্র: ফেরদৌস আহমেদ (পুত্র) ও সাদিক মো. সাইমন (জান্নাত)
শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী প্রধান চরিত্র: জয়া আহসান (দেবী)
শ্রেষ্ঠ অভিনেতা পার্শ্ব চরিত্র: আলী রাজ (জান্নাত)
শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী পার্শ্ব চরিত্র: সুচরিতা (মেঘকন্যা)
শ্রেষ্ঠ অভিনেতা খল চরিত্র: সাদেক বাচ্চু (একটি সিনেমার গল্প)
শ্রেষ্ঠ অভিনেতা কৌতুক চরিত্র: মোশাররফ করিম (কমলা রকেট) ও আফজাল শরিফ (পবিত্র ভালোবাসা)
শ্রেষ্ঠ শিশুশিল্পী: ফাহিম মুহতাসিম লাজিম (পুত্র)
শিশুশিল্পী শাখায় বিশেষ পুরস্কার: মাহমুদুর রহমান (মাটির প্রজার দেশে)
শ্রেষ্ঠ সংগীত পরিচালক: ইমন সাহা (জান্নাত)
শ্রেষ্ঠ নৃত্য পরিচালক: মাসুম বাবুল (একটি সিনেমার গল্প)
শ্রেষ্ঠ গায়ক: নাইমুল ইসলাম রাতুল (গান: যদি দুঃখ ছুঁয়ে…, চলচ্চিত্র: পুত্র)
শ্রেষ্ঠ গায়িকা: সাবিনা ইয়াসমিন (গান: ভুলে মান অভিমান, চলচ্চিত্র: পুত্র)
ও আঁখি আলমগীর (গান: গল্প কথার ঐ…, চলচ্চিত্র: একটি সিনেমার গল্প)
শ্রেষ্ঠ গীতিকার: কবির বকুল (গান: যদি এভাবেই ভালোবাসা…, চলচ্চিত্র: নায়ক)
ও জুলফিকার রাসেল (গান: যদি দুঃখ ছুঁয়ে দেখো…, চলচ্চিত্র: পুত্র)
শ্রেষ্ঠ সুরকার: রুনা লায়লা (গান: গল্প কথার ঐ…, চলচ্চিত্র: একটি সিনেমার গল্প)
শ্রেষ্ঠ কাহিনিকার: সুদীপ্ত সাঈদ খান (জান্নাত)
শ্রেষ্ঠ চিত্রনাট্যকার: সাইফুল ইসলাম মান্নু (পুত্র)
শ্রেষ্ঠ সংলাপ রচয়িতা: এস. এম. হারুন-অর-রশীদ (পুত্র)
শ্রেষ্ঠ সম্পাদক: তারিক হোসেন বিদ্যুৎ (পুত্র)
শ্রেষ্ঠ শিল্প নির্দেশক: উত্তম কুমার গুহ (একটি সিনেমার গল্প)
শ্রেষ্ঠ চিত্রগ্রাহক: জেড এইচ মিন্টু (পোস্ট মাস্টার ৭১)
শ্রেষ্ঠ শব্দগ্রাহক: আজম বাবু (পুত্র)
শ্রেষ্ঠ পোশাক ও সাজসজ্জা: সাদিয়া শবনম শানতু (পুত্র)
শ্রেষ্ঠ মেকআপ আর্টিস্ট: ফরহাদ রেজা মিলন (দেবী)