রফিকুল ইসলাম
শুক্রবার, ০৬ ডিসেম্বর :রাজধানীর সিদ্ধেশ্বরী সার্কুলার রোড থেকে উদ্ধার হওয়া মরদেহটির পরিচয় পাওয়া গেছে। নিহত ওই তরুণীর নাম রুবাইয়াত শারমিন রুম্পা (২১)। তিনি বেসরকারি স্টামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের ৬৯ ব্যাচের শিক্ষার্থী।
নিহত রুম্পার বাবা রোকন উদ্দিন একজন পুলিশ ইন্সপেক্টর। তিনি হবিগঞ্জে কর্মরত আছেন বলে জানা গেছে। তাদের গ্রামের বাড়ি ময়মনসিংহ জেলায়। রাজধানীর শান্তিবাগে পরিবারের সঙ্গে থাকতেন রুম্পা।
গতকাল ৫ ডিসেম্বর, বৃহস্পতিবার রাতে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন রমনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুল ইসলাম।
এদিকে নিহতের পরিবার জানায়, রুবাইয়াত শারমিন রুম্পা পরিবারের বড় মেয়ে। তার আরেকটি ছোট ভাই আছে। গত ৪ ডিসেম্বর, বুধবার সন্ধ্যায় দুটি টিউশনি সেরে শান্তিবাগের বাসায় ফেরেন রুম্পা।
পরে সামান্য কাজ আছে জানিয়ে বাসা থেকে বের হন তিনি। পরে বাসার নিচ থেকে ব্যবহৃত মোবাইলফোন ও পরা জুতা বাসায় পাঠিয়ে পুরনো এক জোড়া স্যান্ডেল পায়ে বেরিয়ে যান।
রাতে আর বাসায় না ফেরায় রুম্পার স্বজনেরা নানা জায়গায় খোঁজ করেও সন্ধান পাননি। পরে গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে রমনা থানায় সিদ্ধেশ্বরীতে পাওয়া তরুণীর মরদেহের তোলা ছবি দেখে তাকে শনাক্ত করে স্বজনেরা।
তাকে সিদ্ধেশ্বরীর কোনো ভবন থেকে ফেলে হত্যা করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। আর ময়নাতদন্তের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, তাদের ধারণা, এর আগে ধর্ষণের শিকার হয়েছেন রুম্পা।
উল্লেখ্য, গত ৪ ডিসেম্বর, বুধবার মধ্যরাতে ৬৮, সিদ্ধেশ্বরীর সামনের রাস্তা থেকে অজ্ঞাত ওই তরুণীর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। পরে নিহতের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠানো হয়।
লাশের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করে বৃহস্পতিবার সকালে পুলিশ বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে রমনা থানায় হত্যা মামলা করেন।
পুলিশের সুরতহাল প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, তরুণীর মেরুদণ্ড, বাঁ হাতের কনুই ও ডান পায়ের গোড়ালি ভাঙা। তার মাথা, নাক, মুখে জখম এবং রক্তাক্ত অবস্থায় ছিল। বুকের ডান দিকেও ক্ষত চিহ্ন দেখা গেছে।