নিজস্ব প্রতিবেদক
দালাল নির্মূলে কুমিল্লা পাসপোর্ট অফিসের পর বিআরটিএ অফিসে র্যাবের হানা
(আটক ৮জন, লক্ষাধিক টাকা জরিমানা, ২ দালালের জেল )
কুমিল্লা পাসপোর্ট অফেসের দালাল নির্মূলের পর এবার বিআরটিএ অফিসের দালাল চক্রের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করেছে র্যাব ১১ সিপিসি ২ ও জেলা প্রশাসন । মঙ্গলবার দুপুরে (১০ই ডিসেম্বর) কুমিল্লার বিআরটিএ অফিসে অভিযান চালায় জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ আবু সাঈদ, সহকারী এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট জনাব মোঃ মাজহারুল ইসলাম এবং কুমিল্লা র্যাব ১১ সিপিসি২ এর কোম্পানি কমান্ডার মেজর তালুকদার নাজমুছ সাকিব, সহকারী কোম্পানি কমান্ডার এএসপি মোঃ মহিতুল ইসলাম সহ র্যাব সদস্যরা।
অভিযান পরিচালনার সময় বিভিন্ন অভিযোগে ৮ জনকে জরিমানা সহ ২ জনকে ১ মাস করে বিনাশ্রম কারাদন্ড ও বিভিন্ন অংকের জরিমানা করে জেল হাজতে প্রেরণ করে ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট । ১ মাসের সাজাপ্রাপ্ত সহ জরিমানার দালালরা হলো ১)মোঃ লিটন মিয়া – ১ মাসের জেল সহ ৪৫ হাজার টাকা। ২) অলোক কুমার সাহা – ১ মাসের জেল সহ ২০ হাজার টাকা জরিমানা। লঘু অপরাধে জরিমানা দেয়া আসামীরা হলো ১) মোঃ শহিদুল ইসলাম, তাকে জরিমানা করা হয় ১০ হাজার টাকা জরিমানা ২) মোঃ হাজী আনোয়ার – ২ হাজার টাকা জরিমানা। ৩) মোঃ জয়নাল আবেদীন – ২ হাজার টাকা জরিমানা ৪) এইচ এম হোসাইন ৫ হাজার টাকা জরিমানা ৫)মোঃ আল-আমীন – ২ হাজার টাকা জরিমানা, ৬) মোঃ মাহবুবুর রহমান – ৫০ হাজার টাকা জরিমানা। এছাড়াও দালালদের শাস্তির রায় প্রদাণের সময় বিআরটিএ অফিসের উপ- পরিদর্শক মোঃ আব্দুল বারী উপস্থিত ছিলেন।
র্যাব ১১ সিপিসি জানায়, গোপন সুত্রের ভিত্তিতে কুমিল্লা জেলা প্রশাসন ও র্যাবের সহায়তা বিআরটিএ অফিসের দালালদের ধরা হয়। তারা দীর্ঘ দিন যাবত নকল স্টাম্প সহ বিভিন্ন ধরনের ভূয়া সীল, ভূয়া কাগজ পত্র দিয়ে, সাধারণ জনগনের সাথে প্রতারণা মুলক কর্মকাণ্ড ও জালিয়াতির কাজ করে আসছে।
দালাল চক্রের লোকেরা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে আসে পাশে ছোট ছোট দোকান ঘর গড়ে তুলেছে। নকল স্টাম্প বিক্রির পাশাপাশি তারা বিআরটিএ অফিসের দালালী সহ নানাবিধ কাজই তাদের মূল পেশা।
সাধারণ জনগণ গাড়ির ড্রাইভিং লাইসেন্স সহ কাগজপত্র ঠিকঠাক করতে এলে তাদের দ্বারাই বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। অফিস কর্তৃপক্ষের অসাধু লোকের সহযোগিতায় তারা এ ধরনের ন্যাকারজনক কাজ করে থাকে। দালালি ও ভূয়া কাগজ পত্র বিক্রি করে মানুষ কে তারা দীর্ঘদিন ধরেই হয়রানি করে আসছে বলে অভিযোগ পাওয়া যেতো।
কুমিল্লা জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট ও র্যাব ১১ সিপিসি-২ এর কোম্পানি কমান্ডার তালুকদার নাজমুছ সাকিব জানান, কুমিল্লা বিভিন্ন সরকারি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের দালালের দৌরাত্ম, দুর্নীতি, অনিয়ম, জনহয়রানি শেষ না হওয়া পর্যন্ত এমন অভিযান অব্যহত থাকবে।