দিল্লির মুস্তাফাবাদের ব্রিজপুরি এলাকায় মসজিদ থেকে শুরু করে মাদ্রাসা, স্কুল ও বিভিন্ন স্থাপনায় হামলা চালানো হয়েছে। মসজিদে ঢুকে নামাজরত মুসল্লিদের গুলি চালানো এবং রড দিয়ে বেধড়কভাবে পেটানোর ঘটনাও ঘটেছে। এছাড়া অগ্নিসংযোগ ও ভাংচুর চালানো হয়েছে বলে অভিযোগ করছেন এলাকাবাসী।
সেখানকার অরুণ মডার্ন পাবলিক সিনিয়র সেকেন্ডারি স্কুলে ভাংচুর চালানো হয়েছে। ওই স্কুলের শিক্ষক কাসিম জাহিদ বলেন, মঙ্গলবার বিকেল ৪টার পর স্কুলে একদল দুর্বৃত্ত হামলা চালায়। হামলা চালিয়ে স্কুলের আসবাবপত্র এবং কম্পিউটার ভেঙে ফেলা হয়েছে। এছাড়া পুড়িয়ে ফেলা হয়েছে কয়েকটি গাড়ি।
জানা গেছে, ওই স্কুলে সাত শতাধিক শিক্ষার্থী রয়েছে। তাদের মধ্যে হিন্দু ও মুসলমান সম্প্রদায়ের শিক্ষার্থীর সংখ্যা বেশি। স্কুলটির পেছনেই রয়েছে মসজিদ। বিকেলে স্কুলে হামলা চালানোর পর সন্ধ্যার দিকে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়।
তার পরেও সংঘর্ষ থামেনি। বেশ কয়েকটি ভবনে ভাংচুর চালিয়ে আগুন ধরিয়ে দেয় উগ্র হিন্দুত্ববাদীরা। এরপর এশার নামাজের আজান হয়। রাত ৮টায় পাশের মসজিদে নামাজ শুরু হলে সেখানে ঢুকে রড দিয়ে মুসল্লিদের পেটাতে শুরু করে দুর্বৃত্তরা। সেই সঙ্গে গুলি চালিয়ে দেয় মুসল্লিদের।
১২ থেকে ১৫ জন মুসল্লিদের পেটানো হয় এবং ইমামকেও গুলি করা হয়। গুলিবিদ্ধ অবস্থায় ইমাম এখন হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
এদিকে ওই মসজিদ আর স্কুলের পাশে থাকা একটি মাদ্রাসায় অগ্নি সংযোগ করা হয়। ২৬ ফেব্রুয়ারি সাংবাদিকরা সেখানে পর্যবেক্ষণে যান। তারা দেখতে পান, মসজিদে ছোপ ছোপ হয়ে রক্ত পড়ে আছে। পবিত্র কুরআন শরিফ পোড়া অবস্থায় মেঝেতে পড়ে ছিল।