সাংবাদিক রফিকুল ইসলাম

সারাদেশঃ বাংলাদেশে_প্রথম ৩৩জন শীর্ষ জ’ঙ্গি গ্রে’ফতার ও তাদের মধ্যে অন্যান্য মা’মলায় ৪ জন ফাঁ’সি কর্যকর হওয়া আসামীর মুল বা’দীকে পুরস্কারের বদলে চাকুরীচ্যুত করায় দীর্ঘ ১৪ বছর শতবর্ষী মা, স্ত্রী ও স্কুল, কলেজ পড়ুয়া সন্তান নিয়ে নিজ ডিপার্টমেন্টের অসৎ পুলিশ অফিসার দারা নি’র্মম জুলুমের শি’কার হয়ে করুন জীবন যাপন করছেন।

বিভিন্ন স্থানে চাকুরী করতে গিয়ে স্থানীয় বেকারদের চাকুরী দিয়েছেন অথচ পুলিশের সাব-ইন্সপেক্টর শফিকুল ইসলাম সাজু এখন নিজেই বেকার।

শফিকুল ইসলাম সাজু আমার দেখা বাংলাদেশ পুলিশের একজন চৌকস পুলিশ অফিসার। যার থাবা থেকে জয়পুরহাট-পাঁচবিবি, আক্কেলপুর, কালাই, ক্ষেতলাল এর সকল প্রকার অ’পরাধী থেকে শুরু করে রাজনৈতিক মা’মলা ভুক্ত খুব কম ফেরারি আ’সামি রেহাই পেয়েছেন।

প্রতি বছরই যখন পুলিশের ত্যাগ ও সাহসীকতার জন্য সয়ং প্রধানমন্ত্রি (বিপিএম) এবং (পিপিএম) পদক তুলে দিচ্ছেন ঠিক একই সময়েই- বীরদের ধ্বনিতে উচ্চারিত হয় “আমি অ’ত্যাচারী ও দুস্মণের আতংক একজন গর্বিত পুলিশ অফিসার” হিসেবে শপথ নেয়া-

পুলিশের এস আই শফিকুল ইসলাম সাজু তখন বুক ফাঁপানো চা’পা কাঁন্নায় নিজেকে আগলে রাখেন।

এবার জানা যাক-শীর্ষ জ’ঙ্গি

গ্রে’ফতারে চাকুরী হা’রানো এসআই সাজুর করুণ কাহিনী।

বাংলাদেশে জ’ঙ্গিদের বি’রুদ্ধে প্রথম মা’মলা দা’য়ের কারী পুলিশের এসআই সাজু। শীর্ষ (জেএমবি) নেতা সিদ্দিকুর রহমান (বাংলাভাই), আতাউর রহমান সানি, আব্দুল আওয়াল, আনোয়ার সাদাত সহ ৩৩ জ’ঙ্গি গ্রে’ফতার এবং তাদের বি’রুদ্ধে মা’মলার বা’দী হওয়াটায় তার জীবনের কাল হয়ে দাড়িয়েছে তিনি বলেন- সেদিন জীবন বাজি রেখে শীর্ষ (জেএমবি) নেতাদের না ধরলে আজ আমার পরিবার পরিজন নিয়ে রাস্তায় রাস্তায় ঘুরতে হতো না।

২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জাতীয় সংসদে ঘোষনা দেন যে,৪ (চার) দলীয় জোট সরকারের আমলে ক্ষ’তিগ্রস্ত সরকারী কর্মচারীরা সরকারের দেয়া ফরমে আবেদন করলে সরকার রিভিউ করে ক্ষ’তি পুষিয়ে দেবে। সে মতে শফিকুল ইসলাম সাজু রিভিউ আবেদন করেণ।দুঃখের বি’ষয় এতে অনেকে সু-ফল পেলেও সাজু পাননি।তার আবেদনটি খারিজও হয়নি, যা এখন পর্যন্ত মুলতবী আছে।

বাংলাদেশে (জেএমবি) এর বি’রুদ্ধে এটি প্রথম মা’মলা এবং সর্বাধিক সংখ্যক আসামী। সেই মা’মলার বা’দী চাকুরীচ্যুত হওয়ার কারণে মা’মলাটিতে স্বাক্ষ্য প্রদানে হাজির না হওয়ায় মা’মলাটি খারিজ হওয়ার পথে।
এর ফলে আসামীরা খালাস পাবে।

আনুসন্ধানে_জানা_যায় মা’মলাটি পরিচালনা কালে মন্তব্যে উঠে আসে যে, যদি সাজুর এই মা’মলাটিতে ত’দন্তকারী কর্তৃপক্ষ সঠিক ব্যবস্থা নিতো তাহলে হয়তো বা বাংলাদেশে (জেএমবির) বিস্তার লাভ করতে পারতো না। যে সমস্ত পুলিশ অফিসার নিজের ফায়দা লু’টিয়ে আসামীদের রি’মান্ড পর্যন্ত না নিয়ে জা’মিনে যেতে সাহায্য করেছে তারা আজ পদোন্নতি নিয়ে বীরদর্পে চাকুরীতে বহাল। আর জীবন বাজি রেখে যে গ্রে’প্তার করে বা’দী হয়ে মা’মলা করেছিল সে আজ চাকুরীচ্যুত হয়ে অনাহারে, অর্ধাহারে দিনাতিপাত করছে।পরবর্তীতে (জেএমবি) সংক্রান্তে অনেকেই BPM/PPM নিয়ে বাহবা কুরিয়েছেন কোরাচ্ছেন। পুলিশ বিভাগ বি’ষয়টি না নিলেও আওয়ামী লীগ সরকার বিশেষ করে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর এ বি’ষয়টি এড়িয়ে যেতে পারেণ না।

তাই মহামান্য রাষ্ট্রপতি ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ জরুরি।

মন্ত্রণালয়ে দীর্ঘ ১১-বছর রিভিউ আবেদন পড়ে থাকার কথা নয়। এসআই সাজু চাকুরীচ্যুত হওয়ার বিগত ৮বছরের চাকুরী জীবনে ৩৬ বার পুরস্কার পান শফিকুল ইসলাম সাজু।

২০০৩_সালে_১৪_আগস্ট গভীর রাতে পুলিশের কাছে খবর আসে জয়পুরহাট জে’লার ক্ষেতলাল থানা এলাকার মহেশপুর গ্রামে মন্তেজার রহমানের বাড়িতে জ’ঙ্গিদের প্রশিক্ষণ চলছে সারাদেশ থেকে জ’ঙ্গিরা সমবেত হয়েছে সেই বাড়িতে।

এমন খবর পেয়ে সদর থানার ওসি ইকবাল শফি ও একই থানার এসআই সাজুর নেতৃত্বে ১০/১২ জন অ’ভিযানে অংশ নেয়। গভীর রাতে প্রাচীর টপকিয়ে মন্তেজারের বাড়ির দরজা খুলে দেয় এসআই সাজু। এক পর্যায় পুলিশের সাথে সং’ঘর্ষ বাধে সেদিন (ওসির) ফোনে (এসপির) সাথে কথা বলেন (এসপি) তাদের কৌশলে আ’টকিয়ে রাখতে বলেন (এসপি) অতিরিক্ত পুলিশ পাঠানোর আশ্বাস দেন কিন্তু দীর্ঘ সময় পুলিশ আসে না, সল্প সংখ্যক পুলিশ জীবন বাজি রেখে যু’দ্ধ করতে থাকেন ইতিমধ্যে দুইজন পুলিশ আ’হত হওয়ার পর জ’ঙ্গিরা কনস্টেবলের হাত থেকে শর্টগান ছি’নিয়ে নেয় এর মধ্যে অতিরিক্ত পুলিশও চলে আসে পাকড়াও হয় শীর্ষ
জ’ঙ্গিদের ৩৩ জন। বাকিরা পালাতে সমর্থ হয়।

ক্ষেতলাল থানায় হাজির হয়ে এসআই শফিকুল ইসলাম সাজু মা’মলা করে। মা’মলা নং- ৬(৮)২০০৩। গ্রে’ফতারকৃতদের মধ্যে সিদ্দিকুর রহমান বাংলা ভাই (বগুড়া), আতাউর রহমান সানি ( জামালপুর), মামুনুর রশিদ (গাইবান্ধা), আব্দুল আওয়াল( নাটোর) সহ ময়মনসিংহের ত্রিশালে পুলিশের ভ্যান থেকে প’লাতক আসামী সালাউদ্দিন সালেহীনও ছিলো। যদিও এরা প্রত্যেকেই ছাড়া পান এবং পরবর্তীতে আবারো গ্রে’ফতার হয়। প্রথম চার জনের ফাঁ’সি কার্যকর করা হয়। ঘটনাটি সে সময় সারাদেশে ব্যাপক আলোরণ সৃষ্টি করলেও কয়েকদিনে প্রেক্ষাপটে বদলে যায়। প্রথমে অ’স্ত্র হা’রানোর অ’পরাধে ২জন কলেস্টেরলকে চাকুরীচ্যুত করা হয়, কিন্তু তারা বিশেষ জে’লার লোক হওয়ায় কিছুদিনের মধ্যেই তারা চাকুরী আবারো ফিরে পায়।

অন্য দিকে ওসি ইকবাল শফির ওয়াকিটকি হা’রানোর অ’পরাধে তার বি’রুদ্ধে বিভাগীয় মা’মলা হলেও তা থেকে তিনি খালাস পান।

#অথচ সমস্ত কৃতিত্ব এসআই সাজুর হওয়া সত্যেও অদৃশ্য শক্তির রোষানলে পড়তে হয়। কয়েকদিনের মধ্যেই তার পঞ্চগড়, খাগড়াছড়ি এবং ডিএমপিতে একই সময়ে বদলি আদেশ হয় যা নিয়ম নীতি পরিপন্থী।

এসআই সাজু (ডিএমপিতে) যোগদান করলে জয়পুরহাট জে’লার পুলিশ সুপার এসআই সাজুকে।

ওই ঘটনায় বিভাগীয় মা’মলার দন্ড সরূপ (ব্ল্যাক মার্ক) দিয়ে (ডিএমপিতে) পাঠান। যার ফলে ডিএমপিতে উর্ধ্বতন পুলিশের কাছে চোঁখের বালি হয়ে যান। এসআই সাজু।

মিরপুর থানায় কর্মরত থাকা অবস্থায় থানার (ওসি) ইন্তেজার রহমান যিনি ঢাকাস্থ বগুড়া সমিতির সাধারণ সম্পাদক ছিলেন।

২০০৪ সালে (ওসি) ইন্তেজার ছিলেন একজন ক্ষমতাধর ওসি। নানাভাবে তাকে সমস্যা ফেলার চেষ্টা করা হয়। অবশেষে একটি ঘটনার সাথে তাকে জড়িয়ে অ’ভিযুক্ত করা হয়। একই ঘটনায় (ওসি) আরেক (এসআই) অ’ভিযুক্ত হলেও তারা ছাড় পেয়ে তাদের স্থলে শফিকুলে নাম যুক্ত করে দেয়া হয়।

ওই ঘটনায় শফিকুলে বি’রুদ্ধে বিভাগীয় মা’মলা নং- ৫৩/২০০৫, তাং ১০/০৩/২০০৫ (পিআরবি) মুলে রুজু করান, (ডিসি) কোহিনূর মিয়া (এসআই) শফিকুল ইসলাম সাজুকে (পিআরবি) যা DMP অধ্যাদেশের ৩ ধারা পরিপন্থি আইনে বাৎসরিক ইনক্রিমেন্ট কর্তনে দন্ড প্রদান করেন।

এছাড়াও শফিকুল ইসলাম সাজু সরাসরি (এসআই) পদে নিযুক্ত তাই দন্ডটি বাংলাদেশ সংবিধানের ১৩৫ (১) অনুচ্ছেদ পরিপন্থী। শফিকুল ইসলাম সাজু বলেন তিনি (ডিএমপি) পুলিশ কমিশনার বরাবর আপিল করেন (ডিএমপি) হেডকোয়ার্টারে যার মাধ্যমে আপিল করতে হয় তিনি ছিলেন আর আই ইউনুস আলী (ওসি) ইন্তেজারের পরম বন্ধু।

ফলে আপিলের সাজা মওকুফ না করে বরং তাকে চাকুরী হতে সরিয়ে দেয়া হয়। সরকার বদল হলেও সেটি আর আলোর মুখ দেখেনি। অথচ দুখজনক হলেও সত্য যে পুলিশ ডিপার্টমেন্টের একজন দায়িত্বশীল পুলিশের অফিসার আজ নিজ ডিপার্টমেন্টের প্রতিহিংসার শি’কার হয়ে এখন দূর্বীসহ জীবন যাপন করছে। শফিকুল ইসলাম সাজু ও তার শতবর্ষ বয়স্ক মায়ের দাবী তাদের পরিবারের সচ্ছলতা ও শান্তি ফিরে পাওয়ার জন্য-
মহামান্য রাষ্ট্রপতি ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সরাসরি হস্তক্ষেপ কামনা করছি।

বাংলাদেশের ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি