বিশ্ব কাঁপছে করোনা আতঙ্কে। চীন থেকে ছড়িয়ে ইউরোপ ও আমেরিকায় তাণ্ডব শুরু করেছে এই মারণ ভাইরাস। অথচ, ভারত ও চীনের প্রতিবেশী ভুটান নীরব লড়াইয়ে নেমে করোনার বিরুদ্ধে প্রবল প্রতিরোধ গড়েছে।
গত বছরের ডিসেম্বরে চীন থেকে যে করোনাভাইরাস ছড়িয়েছে তাতে বিশ্বজুড়ে ১১ হাজার তিনশ ৬৬ জন মানুষের মৃত্যু হয়েছে। আড়াই লক্ষাধিক সংক্রমিত। আর এদিকে, শুক্রবার পর্যন্ত ভুটানে কোনো করোনা রোগী নেই। ভুটান সরকারের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, করোনা সন্দেহে কোয়ারেন্টিনে থাকা সর্বশেষ ১৪ জনকে বৃহস্পতিবার ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
থিম্পুর সংবাদ মাধ্যমের রিপোর্ট, দেশজুড়ে বাধ্যতামূলক কোয়ারেন্টিন ব্যবস্থাকে জনগণ জীবন যাপনের একটি নতুন পদ্ধতি বলেই মেনে নিয়েছেন। ভারত সীমান্ত সংলগ্ন সবকটি চেকপোস্ট দিয়ে আসা যাওয়ার নিষেধাজ্ঞা জারি রয়েছে।
ভুটানের প্রধানমন্ত্রী ড. লোটে শেরিং আগেই বলেছিলেন, চীনসহ বিশ্ব পরিস্থিতি নজরে রেখে প্রয়োজন মতো করোনা প্রতিরোধের লড়াইয়ে প্রস্তত আমরা। এর জন্য দেশজুড়ে সর্বত্র জীবাণুনাশক বিলি, মোবাইল করোনা পরীক্ষা কেন্দ্র চালু হয়েছে। সেই সঙ্গে বাধ্যতামূলক কোয়ারেন্টিন ব্যবস্থা।
গণস্বাস্থ্য কর্মসূচির কড়া নিয়মানুবর্তিতার উদাহরণ তৈরি করে ভুটানে করোনা প্রতিহত কর্মসূচি বিশ্বে নজর কাড়ছে। গণস্বাস্থ্য কর্মসূচিকে গণবণ্টনের আওতায় এনে নীরব ভুটান আদতেই যুদ্ধের ঘণ্টা বাজিয়েছে। প্রশ্ন আদৌ কি ভুটান এই ভাইরাস বিরোধী যুদ্ধে দুর্গ টিকিয়ে রাখতে পারবে? এই প্রশ্নের উত্তর হয়তো সময়ই বলে দেবে।