নভেল করোনাভাইরাস (কভিড-১৯) প্রাদুর্ভাবের প্রেক্ষিতে চীনের আলীবাবা ফাউন্ডেশন ও জ্যাক মা ফাউন্ডেশনের পাঠানো তিন লাখ মাস্ক আজ রবিবার ঢাকায় পৌঁছেছে। সেগুলোর মধ্যে ৩০ হাজার এন৯৫ মাস্ক এবং বাকি দুই লাখ ২৭ হাজার সার্জিক্যাল মাস্ক। ঢাকায় চীনের উপমিশন প্রধান হুয়ালং ইয়ান আজ চীনা ওই সহায়তা সামগ্রীগুলো বাংলাদেশ সরকারের প্রতিনিধিদের কাছে হস্তান্তর করেন। এর আগে গত কয়েক দিনে বাংলাদেশকে ৪০ হাজার ৫০০ টেস্ট কিট দিয়েছে চীন। 

ঢাকায় চীনা দূতাবাস জানায়, আরো অধিক সংখ্যক রোগির নভেল করোনাভাইরাস সংক্রমণের পরীক্ষা করতে বাংলাদেশকে সক্ষমতা জোরদারের লক্ষ্যে চীন টেস্ট কিটগুলো প্রদান করেছে। চীন বাংলাদেশ সরকারকে সরাসরি দিয়েছে ১০ হাজার টেস্ট কিট, এক হাজার ইনফ্রারেড থার্মোমিটার, ১৫ হাজার এন৯৫ মাস্ক ও ১০ হাজার ‘পার্সোনাল প্রোটেক্টিভ ইকুইপমেন্ট (পিপিই)’ দিয়েছে। অন্যদিকে চীনের অনুরোধে ওই দেশটির আলীবাবা ফাউন্ডেশন ও জ্যাক মা ফাউন্ডেশন দিয়েছে ৩০ হাজার টেস্ট কিট ও তিন লাখ মাস্ক দিয়েছে। 

এদিকে ঢাকায় চীন দূতাবাস বাংলাদেশকে দেওয়া টেস্ট কিট নিয়ে উদ্বেগ নাকচ করেছে। দূতাবাস বলেছে, চীন থেকে কেনা টেস্ট কিট স্পেনে ঠিকভাবে কাজ না করার প্রেক্ষিতে বাংলাদেশের জনগণের মধ্যে কিছু কিছুটা উদ্বেগের খবর তারা দেখেছেন। স্পেন টেস্ট কিট কিনেছে শেনঝেন বায়োটেকনোলজি কো. লিমিটেড। ওই কম্পানি চীনের ‘ন্যাশনাল মেডিকেল প্রোডাক্টস অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের (এনএমপিএ)’ কাছ থেকে বিক্রয়ের অনুমতি পায়নি। যোগ্যতাসম্পন্ন মেডিকেল পণ্য সরবরাহকারী হিসেবে ওই কম্পানি চীনের বাণিজ্য মন্ত্রণায়ের তালিকাভুক্ত নয়।

অন্যদিকে চীন বাংলাদেশকে যে টেস্ট কিটগুলো সরবরাহ করেছে সেগুলো শেনঝেন বায়োটেকনোলজির কোনো পণ্য নয়। মানসম্মত প্রক্রিয়ায় এবং যোগ্যতাসম্পন্ন সরবরাহকারীদের কাছ থেকে সেগুলো কেনা হয়েছে।